নিজস্ব প্রতিবেদক||
মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার বলেন, মিসকিনকে খেতে দেই এটা ওদের পাওনা, অধিকার। এটা ওদেরই খাবার। আল্লাহ তায়ালা আমাকে দিয়েছেন পৌঁছে দেয়ার জন্য।
তাই তাদের খেতে না দেয়া মানে হচ্ছে, তাদের খাবার আত্মসাৎ করা। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কুরআনে বলেছেন,
‘আর তাদের সম্পদে অবশ্যই প্রার্থী ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।’ (সুরা আল-যারিআত ১৯)
এছাড়া সূরা মাউনে মিসকিনকে খেতে না দেয়ার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। এথেকে বুঝা যায় মিসকিনকে খেতে দেয়া, দয়া দেখানো নয় বরং নামাজ রোজার মতোই ফরজ কাজ।
‘তুমি কি তাকে দেখেছো, যে আখেরাতের পুরস্কার ও শাস্তিকে মিথ্যা বলছে? সে-ই তো এতিমকে ধাক্কা দেয় এবং মিসকিনকে খাবার দিতে উদ্বুদ্ধ করে না।’ (সূরা মাউন ১-৩)
জাতীয় জনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে গতকাল (১৪ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিভিন্ন জায়গায় অলিতে গলিতে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষ এবং পথচারীদের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় ।
জাতীয় জনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও দৈনিক নয়াদেশ পত্রিকা এবং বাংলা পোস্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মাদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারের উদ্দ্যোগে এই খাদ্য সামগ্রী ও ইফতার বিতরণ করা হয় । এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ স্বপ্নীল সরকার , ( আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট-) , সাংগঠনিক সম্পাদক, আরজে সুহিল ইরফান , ও সদস্য ফিরোজ রশীদ প্রমুখ ।
তাই আসুন নিজে উদ্যোগী হয়ে মিসকিনদের খাবার দেই। আমার এই কর্তব্য পালনে যেনো তাদের হাত পাততে না হয়। আমাদের আশপাশে তাদের খোঁজ করি। নিজ দায়িত্বে তাদের বাসায় ফুড প্যাকেট পৌঁছে দেই।
আজকের এই খাদ্য সামগ্রী ও ইফতার বিতরণ কর্মসূচির মধ্যে সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষী,ও উপদেষ্টাবৃন্দ যাহারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । উল্লেখ্য- বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবী মাওলানা হাবিবুর রহমান -পরিচালক ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক,শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ডক্টর সৈয়দ রেজোয়ান আহমদ, অধ্যক্ষ সৈয়দপুর শামছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জ, বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সিলেট, ও যুবসমাজের অহংকার , জাকির হোসেন উজ্জ্বল , সভাপতি মৌলভীবাজার জেলা যুবদল ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রমুখ ।
প্রিয় পাঠক দর্শক ভাই বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান যে যার মত করে এই উদ্যোগে এগিয়ে আসুন এবং আমাকেও আপনাদের সাথে শরিক রাখবেন। এই প্রচণ্ড গরমে খাবারের অভাবে যদি রোজাদারের কষ্ট হয় সেটা মেনে নেয়া যায় না। কোনো অভাবীর ঘরে খাবার পৌঁছানোর সুযোগ থাকলে আমাকেও জানাবেন প্লিজ।
পরিশেষে মহান আল্লাহ তায়ালা যেন আপনাকে আমাকে আমাদের সকলকে আন্তরিক ভাবে এই ব্যতিক্রম উদ্দ্যোগকে কবুল করুন আমীন । তারি সাথে এধরনের সেবামূলক কাজ করে যাওয়ার জন্য তৌফিক দান করুন আমীন ।