সভাপতির বক্তব্য তিনি বলেন, দেশে গনতন্ত্র নেই চলছে একদলীয় ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন, জনগণ আজ আতংকিত। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলেও ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করে বলপূর্বক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। এই সরকার দেশে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। দেশে গুম খুন চাঁদাবাজি কালোবাজারি সিন্ডিকেট লুটপাট দুর্ণীতি অর্থ পাচার চলছে। চাল ডাল সহ সকল প্রকার নিত্যপণ্যের দাম সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেনীর মানুষ আজ দিশেহারা।
কমরেড সামাদ আরও বলেন, আমেরিকা ভিসা স্যাংসন দিয়েছে এবং তা প্রয়োগ করা শুরু করেছে এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। শুধু আমেরিকা নয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা দিয়েছেন কোন নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না কারণ বিশ্ববাসী জেনে গেছে এই সরকার আরও একটা পাতানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে এই সরকারকে আর কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশ কে আজ আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে সামনে আরও অনেক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। বাংলাদেশকে ভয়াবহ সংকটের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল বাদ দিয়েছে হাইকোর্টের কাঁধে বন্ধুক রেখে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে। এই সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়নি। সিটি করপোরেশন সহ স্থানীয় সরকার কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আওয়ামী সরকার আবারো ভোট ডাকাতী করে রাষ্ট্র ক্ষমতার ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান বলেন, সরকারের একঘেয়েমিপোনার কারনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্ব এখন হস্তক্ষেপ করতে শুরু করেছে। আমরা এটা চাই না। আমরা ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাই।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড মোস্তফা আল খালিদ, কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড সামছুল হক সরকার, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কমরেড তালেবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক কমরেড তারেক ইসলাম বিডি, কমরেড গিয়াস উদ্দিন, কমরেড মামুন, কমরেড জয়, কমরেড রফিকুল ইসলাম, কমরেড মুন্না ও ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড়ে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।