মো.মহসিন রেজা, শরীয়তপুর।।
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মাদবর কান্দি গ্রামে রাতের অন্ধকারে একটি পরিবারের প্রত্যেককে মারধর, ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বুলবুল সরদারের বিরুদ্ধে।
এঘটনাটি ঘটে ২৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত ১ টার দিকে, সখিপুর ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ তপাদারের ছেলে লেহাজ উদ্দিন তপাদারের বাড়িতে। পরে ত্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে আত্নরক্ষা।
হামলার ঘটনায় লেহাজ উদ্দিন তপাদার বাদী হয়ে ১ মার্চ ১৭ জনকে আসামী করে সখিপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এঘটনায় বুলবুল সরদার ও তার সহযোগী প্রায় ৪০/৫০ জন সশস্ত্র লোক পাশে থাকা হাবিবুল্লাহ কলেজের উত্তর পাশে নিরাপত্তার জন্যে জ্বালানো সবগুলো লাইট বন্ধ করে দিয়ে লেহাজ উদ্দিন তপাদারের পরিবারে লোকদের উপর চড়াও হয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। সেদিন রাতে নারী, পুরুষ, শিশু এমনকি নরপিচাশদের হাত থেকে রেহাই পায়নি ৮৫ বছরের বৃদ্ধা রসিতন নেছা।
বৃদ্ধা রসিতন নেছা কেঁদে কেদেঁ প্রতিবেদককে বলেন, আমাগো এই সম্পত্তির লেইগগা ওরা আমারেও মারছে, এই দ্যাহেন বাবা আমার কাপড়ডা ছিড়ছে। আমার মাইয়া, নাতি, নাতিনরা ব্যারাইতে আইছে হ্যাগো মারছে চেইন কানের দুল নিয়া গ্যাছে। আমার দুইডা ছোড ছোড নাতিন হ্যাগোরে ম্যালা মাইরা জঙ্গলে হালাইয়া দিছে, আমাগো ঘরের সব কিচ্ছু নষ্ট কইরা হালাইছে, আমি এইয়ার বিচার চাই আপনেরা আইনের মানুষ বাবা অগো বিচার করেন।
মা রসিতন নেছা’র ছেলে লেহাজ উদ্দিন বলেন, আমাদের সম্পত্তি নিয়ে বুলবুল সরদারের সাথে মামলা চলতেছে, সোমবার রাত ১টার দিকে হাবিবুল্লাহ কলেজের লাইট নিভিয়ে বুলবুল সরদার দিলু সরদারের নেতৃত্বে মকবুল রাড়ী, আহমদ আলী তপাদার,ফজল মাদবর, হাবিবুল্লাহ কলেজের নাইট গার্ড মোস্তফা শিং চুন্নু শেখসহ ৪০/৫০ জন আমাদের উপর হামলা করে আমার বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, বোন, ছেলে, ভাগিনা, ভাগিনিকে মারধর করে। ধান, চাল সরিশা সব কিছু এলোমেলা করে ফেলে দিয়ে কিস্তি থেকে লোন করা সত্তর হাজার টাকা আমার বোনের চেইন কানের দুল নিয়ে যায়। এবং কি একটি টিনের নতুন ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়।
লেহাজ উদ্দিন তপাদারের ছেলে চাঁদপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল ইমরান বলেন, এর আগেও বুল বুল সরদারের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে আমার বাবাকে মারধর করেছে। এবার আমাদের পরিবারের উপর রাতের অন্ধকারে বর্বোরোচিত হামলা করেছে, এরপর আমরা ত্রিপল নাইনে ফোন করলে ১ ঘন্টা পর সখিপুর থানার পুলিশ আসে। আমার বাবা বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে সখিপুর থানায় একটি এজাহার দিয়েছি এখনো মামলা হয়নি। আমি এই বর্বরদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।
এবিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, একটি দরখাস্ত পেয়েছি, মামলাটি কোর্টে পাঠিয়ে দেবো, এবং ওদের দুপক্ষকেই পানিশ মেন্টের ব্যাবস্থা করবো।