নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকা দৈনিক‘‘সোজা সাপটার’’ বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ প্রদান করেন দৈনিক বর্তমানের সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল হালিম নিশাণ। গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেল চার ঘটিকার সময় দৈনিক বর্তমানের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ও জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল “দৈনিক সকালের কাগজের” সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল হালিম নিশাণ ’’ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে স্বয়ং অফিস কক্ষে হাজির হয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের দায়ে ‘‘সোজা সাপটার’’ বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাগেছে, গত ২৮/০৫/২০২১ইং তারিখে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ, যাহা সম্পূর্ণ অসত্য ও কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। এমন ঘটনার সূত্রপাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক ও না.গঞ্জ-সিদ্ধিরগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিকরাও এমন সংবাদ প্রকাশের জেরধরে তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
অনুসন্ধানে, কাঁচপুর মেইন গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট থেকে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পর্যন্ত প্রায় অর্ধকিলোমিটার মহাসড়ক আক্রিয়ে ওসি মো: মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে রমরমা ফুটপাত ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। এবং সড়ক পথের উপরে বছরে বছর জুড়ে থাকা পরিবহণ ডাম্পিং এর ছবিসহ ওই শিরোনামে গত (২৯ এপ্রিল ও ২২ মে) টানা দ্ইু দিনের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে। হাইওয়ে ওসির ব্যাপক আকাড়ে টনক নড়ে যায়। ওসি দিশেহারা হয়ে, নিজেকে পরিত্রাণ পেতে, তাঁর নেতৃত্বে থাকা অসাধু কিছু সংখ্যাক গণমাধ্যম কর্মীদের অবৈধ অর্থ প্রদান করে, লিলিয়ে দেন সিনিয়র সাংবাদিক নিশাণের বিরুদ্ধে। এবং এধরনের একটি তথা কথিত সাংবাদিক চক্র নিজের স্বার্থ হাসিলের লক্ষে নানা প্রকার অনৈতিক কান্ডে জড়িয়ে পরেন। সুতরাং সংবিধান ভঙ্গ করে সমাজের একজন ভালো মাপের সংবাদ কর্মীদেরকে নারাণগঞ্জের হাতে গোনা কিছু সংখ্যাক পত্রিকা গুলোকে অবৈধ অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করে অপকর্ম লুটয়ে থাকেন ওই চক্রটি। তাঁরা এমন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নারায়ণগঞ্জের অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে পড়েছেন। এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জে এমন অপ-সাংবাদিকতা ও হলুদ সাংবাদিকতা দমনের লক্ষে সচেতন মহল তীব্রন্দিা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এবিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক অনুসারী আব্দুল হালিম নিশাণকে বিভিন্ন মাধ্যমে জানান, ভাই আপনারা সমাজের দর্পন-সমাজের আয়না! বিশেষ করে আপনার মতো সাহসি সাংবাদিকতা ও বস্তুনিষ্ঠতা তুলে ধরার মতো লোক কম মিলে। অনেক সাংবাদিক পুলিশ প্রশাসনকে গলায় হাত দিয়ে ‘‘দালালি’’ করার লক্ষে নানা প্রক্রিয়া খুঁজে বেড়ান। তাতে করে এমন দালালি সাংবাদিকতার জন্য, অনেক অংশে গণমাধ্যমের হুমকি দাঁড়িয়েছে। সেই সকল অসাধু ব্যক্তিদের জন্য আপনাদের সোচ্ছার হতে হবে। আরও বলেন, আপনার জন্য সর্ব সময় নামাজ পড়ে দোয়া প্রর্থনা করে থাকি। এমন সমাজের সুপ্রিয় সাধারণ মানুষ গুলো উৎসহ-উদ্ধিপনা দিয়ে নানা ভাবে প্রশাংসা করে থাকেন নিশাণকে নিয়ে।
এবিষয়ে ঢাকা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি জহিরুল আলম পিলু বলেন, একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে, আরেকজন সাংবাদিক লেগে থাকাই অপরাধ। তারপরে আবার একজন সংবাদ কর্মীর বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করা এটি আরো মারাত্মাক অপরাধ। নিজেদের ভিতরে কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হলে, সেটি নিজেরাই মিমাংসা করা অনেক ভালো। তারপরেও যদি জটিলতা অনেক বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আদালত ‘‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে’’ অভিযোগ প্রদান করাই অনেক উত্তম। কিন্তু এমন একটি স্থানীয় পত্রিকায় সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল হালিম নিশাণের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাটাই অনেক দু:খ জনক বলে মনে করেন তিনি।