প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখতে যৌথ ফ্যামিলি ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষ তার ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে ফ্যামিলির বন্ধন পর্যন্ত ভেঙে ফেলছে। যার প্রভাব আমাদের পুরো বাস্তু সিস্টেমে প্রভাব ফেলছে।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আশঙ্কা জনক হারে ঔষধি গাছের প্রজাতি বিলুপ্তি হচ্ছে। গবেষণা ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা না থাকার ফলে এমনটি ঘটছে । ইতোমধ্যে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া থানকুনি, বিলাই আছড়া, কাটানেট, ভাং, কালো ধুতরা, বনবেগুন, উলটকম্বল, রামচন্ডাল, কালো তুলসী, রাম তুলসী, শতমূলী, অগ্নিশ্বর, রক্তচিতা, দুধরাজ, ফনিমনসা, ন্যাড়াসেজার, কালো মেঘ, বনধনে, লজ্জাবতী, বিষকাটালী, নীলকন্ঠ, আকন্দ, সর্পগন্ধা, বিশলাকরণী, ঈশ্বরীমূল, পিপুল, বাসক, দাদ মর্দন, একাঙ্গী, ভেরেন্ডা, তালমাঘনা, যজ্ঞ ডুমুর, ভূই আমলা, স্বর্ণলতা সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিপন্ন হওয়ার পথে। ওষুধ শিল্প সম্প্রসারণে কেমিক্যালের গুরুত্ব যতটা দেওয়া হয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদিকের গুরুত্ব খুব বেশি দেওয়া হয় না। শরীরের এন্টিবডি তৈরির জন্য ঔষধি গাছের চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকর। সরকারিভাবে জেলায় গবেষণা ভিত্তিক ঔষধি গাছের বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। ইতোমধ্যে সারা পৃথিবী জুড়ে ১৪২ টা প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, ৪৫০—এর কাছাকাছি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। মূলত চাষাবাদ, জ্বালানির জন্য কাঠ সংগ্রহ, গবাদি পশুর চাষাবাদ, নগর সভ্যতার উন্নয়ন এবং অগ্নিকাণ্ড ঔষধি গাছ বিলুপ্তির প্রধান কারণ। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের ফলে আবহাওয়া বৈরি আচরণ করে যার ফলশ্রুতিতে গাছের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। ঔষধি গাছ সংরক্ষণের জন্য বিদ্যমান বনাঞ্চলকে নিরাপত্তা দেওয়া, বীজ সংরক্ষণ, বৈজ্ঞানিকভাবে বৃক্ষরোপণ, বীজ সংরক্ষণে সাধারণ জনগণকে প্রশিক্ষণ প্রদান, বিদেশি প্রজাতির গাছ লাগাতে নার্সারি মালিকদের নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি বন সংরক্ষণের জন্য অর্থের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। সরকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ঔষধি গাছের গুনাগুন সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে সংগঠনের পরিচালক অধ্যক্ষ নাদিয়া নূর তনুর পিতা যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম পাভেল ও নারী পরিষদের সহ—সভাপতি সেলিনা চৌধুরীর মাতার ইন্তেকালে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন নারী পরিষদের সহ দপ্তর সম্পাদক রিয়া আক্তার, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নাসরিন আক্তার আইরিন, সবুজ আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, ছাত্র পরিষদের সিনিয়র সহ—সভাপতি রাইন আলম, সহ দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সায়েমসহ মহানগরের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।