এস এম আরিফুল ইসলাম জিমন।।
যত দিন যাচ্ছে ততই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার করতোয়া নদীর উপরে নির্মিত বেইলি সেতুটি। গত কয়েক বছরে বহুবার পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনে সেতুটি নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা হলেও এগিয়ে আসেনি কেউই। যেন দেখার কেউ নেই!
সওজ এর তথ্যানুযায়ী, ১৯৯৮ সালে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার যোগাযোগ স্থাপন করতে নির্মাণ করা হয় এই বেইলি সেতুটি। কিন্তু নির্মাণের দুই যুগ পার হলেও নতুন কোন সেতু নির্মাণ হয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, গাইবান্ধা সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ এর পক্ষ থেকে সেতুর আগে সাইনবোর্ড স্থাপন করে লিখে দিয়েছে ৫ টনের অতিরিক্ত বহন নিষিদ্ধ। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুর উপর দিয়ে ১৫/২০ টন, এমনকি দশ চাকা সম্বলিত ড্রাম ট্রাক আনুমানিক ৪০ টন ওজনের মালামালও নিয়ে অবাধে চলাচল করছে ট্রাকসহ ভারী যানবাহন। নির্মাণের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাফিলতির কারনে মেয়াদউত্তীর্ণ এ বেইলী সেতুটি মেরামতের কোন খোঁজ খবর নেই। বিকল্প সড়ক না থাকায় প্রতিদিন বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দিয়ে চলাচল করছে ভারী যানবাহনসহ, যাত্রী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সেতুটির বয়স অনেক হওয়ায় একটি গাড়ী উঠলেই ঝন ঝন শব্দ হয়, মনে হয় এই বুঝি ভেঙ্গে পড়বে। ব্রীজের পাটাতনের অনেক নাটবল্টু ঢিল হয়ে খসে পড়েছে, এর ফলে লোহার পাত গুলো মধ্যে ফাঁক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে রিক্সা, ভ্যান ও বাইসাইকেলের চাকা ঢ়ুকে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
গত বছর এ বিষয়ে দিনাজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, সেতুটির নকসা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু করা হবে। কিন্তু আরও একটি বছর পার হয়ে গেলো, কোন নতুন খবর নেই।
দুই জেলার এই দুই উপজেলার সাধারণ মানুষেরা এমপি শিবলী সাদিক ও এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতি সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, বড়ো কোন দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বে শিগগিরই বেইলি সেতুটি ভেঙে বড় সেতু নির্মাণ করা হোক।