অনলাইন ডেস্ক◊◊
তৈরী পোষাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৩ হাজার করার দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।
তিনি বলেন, তৈরী পোষাক শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক। তৈরী পোষাক শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির দাবি মেনে নিতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
আজ (২৬ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যার গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, যে শ্রমিকরা বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তারাই সবচেয়ে বেশি মানবেতর জীবন যাপন করছে। দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখা শ্রমিকদের সাথে অমানবিক বৈষম্য চলছে। সভ্য সমাজে এমন বৈষম্য বেমানান।
তিনি আরও বলেন, শুরু থেকেই তৈরী পোষাক শিল্প শ্রমিকদের খুবই সামান্য বেতন দেয়া হতো। তাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে তৈরী পোষাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ৩ শো টাকা।
অথচ, ঐ সময় শ্রমিকরা সর্বনিম্ন ১৬ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছিলো। ২০১৮ সালের প্রবল শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পুনরায় শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয় ৮ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের পয়লা জানুয়ারী থেকে তা কার্যকর হয়।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ২০১৮ সালের ৮ হাজার টাকা বেতন কাঠামোতে শ্রমিকদের জীবন চলে না।
তিনি বলেন, দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ৮ হাজার টাকায় একটি পরিবারের খাবার খরচই অসম্ভব। এমন বাস্তবতায় তারা বাসা ভাড়া, চিকিৎসা, পোষাক ও শিশুদের লেখাপড়া চালাবে কীভাবে? গবেষণা সংস্থা সিপিডি’র সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ৪ সদস্যের একটি পরিবারে মাসিক খাবার খরচ হচ্ছে ২২ হাজার ৪২১ টাকা। আন্দোলনরত তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের সর্বনিম্ন ২৩ হাজার টাকা বেতনের দাবি মানবিক কারনেই মেনে নিতে হবে। তাই, আন্দোলনরত তৈরী পোষাক শিল্প শ্রমিকদের সাথে সদয় আচরণ করতে সবার প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।