নিজস্ব প্রতিবেদক।।
এক মাসের ব্যবধানে ২০২২-২৩ সালের বাজেট ঘোষণার দিন আবারো সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে সাত টাকা বৃদ্ধি করায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়ে ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, তেল নিয়ে তেলেসমাতি বন্ধ হবে কবে ?
শুক্রবার (১০ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এ প্রশ্ন করেন।
তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তেলের দাম আর বাড়বে না, কমের দিকে যাবে। তার ঘোষণার ৭ দিনে মধ্যে তেলের মুল্যবৃদ্ধি কিসের ইঙ্গিত বহন করে ? তাহলে কি দেশের তেল ব্যবসায়ীরা সরকারের চাইতেও ক্ষমতাধর যে তারা বাণিজ্যমন্ত্রীকে কেয়ারই করে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির কারণে জনজীবন যখন দিশে হারা তখন বার বার ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধি লুটেরা গোষ্টি কর্তৃক সৃষ্ট তেল সংকটের করাল পিষ্টে পড়েছে জনগন। লুটেরা ও অসৎ ব্যবসায়ীসৃষ্ট তেল সংকটের আগাম বার্তা দিচ্ছে- যেখানে দামের ঊর্ধ্বগতির প্রভাবের বেগে জনজীবন বিপর্যস্থ হওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে? এই তেল নিয়ে তেলেসমাতি কান্ড বন্ধ হবে কবে? সঠিক সুরাহার না হওয়ার মারপ্যাঁচে জনজীবন তথা সমগ্র দেশে নতুন এক সংকট সৃষ্টি কাম্য কতটুকু?
তারা আরো বলেন, ভোজ্যতেলের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে গৃহস্থের রান্নাঘরে আগুন লাগাছে। তাই এই গভীর সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে তা নিয়ে দ্রæত ভাবনা প্রয়োজন। সমস্যাটিকে আড়ালে রাখার কোনও সুযোগ নেই। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য হয়। এর বাইরে সংসারের অন্যতম দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো গ্যাস, বিদ্যুৎ ও রান্নার তেল। এই তিনটির দাম সব অঙ্ককে হার মানাচ্ছে। এই অবস্থায় গরিব মধ্যবিত্ত বাঁচবে কীভাবে? জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ – প্রতিটি ক্ষেত্রে সদিচ্ছা থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে রেখে জনগণকে সুরাহা দেওয়া যায় বলেই মনে করছেন দেশবাসী।
নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমান সয়াবিন তেলের বাজারের আধিপত্য হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানির হাতে। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের পক্ষে কঠিন কোন কাজ নয়। এর পরও কেন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে ? তাহলে কি ঐ ব্যবসায়ীরা সরকারের চাইতে শক্তিশালী অথবা ঐ ব্যবসায়ীরাই সরকার চালাচ্ছে ? তেল নিয়ে তেলেসমাতি কান্ড বন্ধ হোক। হুটহাট কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করার পেছনে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচন করা এখন সময়ের দাবি। নাটের গুরুরা বরাবরের মতো যাতে পর্দার আড়ালে থেকে না যায় সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। তা না হলে, শ্রীলঙ্কা, গ্রিসের মতো অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হতে আর বেশিদিন লাগবে না।