নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি♦♦
তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে উদ্ধারপূর্বক মূলহোতাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেন র্যাব-১১’র একটি টিম।
গত (১৯ এপ্রিল) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন জামালদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ভিকটিম(০৯)’কে উদ্ধারপূর্বক অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা অনামিকা আক্তার@জিয়াসমিন (২৮) এবং তার সহযোগী জান্নাত(২৮)’কে গ্রেফতার করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী অনামিকা আক্তার@জিয়াসমিন (২৮) মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন ইসমানিক চর এলাকার এছহাক-এর মেয়ে এবং জান্নাত(২৮) শরিয়তপুর জেলার গোসাইর হাট থানাধীন আনোয়াকাঠি এলাকার সুলতান সরদার-এর মেয়ে।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম(০৯) নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন কলাবাগ এলাকায় আল-আমিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আব্দুল মোতালেব এর মেয়ে। গত ১৮/০৪/২০২৩ অনুমান ১১টা ৪৫ মিনিট ঘটিকায় ভিকটিম তার ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ভিকটিমের পিতা-মাতা ভিকটিমকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাশের বাসার ভাড়াটিয়ার মাধ্যমে জানতে পারে যে, তাদের প্রতিবেশী অনামিকা আক্তার@জিয়াসমিন (২৮) ও জান্নাত(২৮) অন্যান্য আসামীদের সহযোগীতায় ভিকটিম(০৯)’কে অটোরিক্সা যোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে।
ঘটনার এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ভিকটিমের পিতা-মাতার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। ভিকটিমকে জীবিত ফেরত দেয়ার জন্য ভিকটিমের পিতা-মাতার নিকট ৬০,০০০/- টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এই ঘটনায় ভিকটিমের অসহায় পিতা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৭, তারিখ-১৯/০৪/২০২৩খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৮/৩০।
পরবর্তীতে র্যাব ১১, সিপিএসসি এর গোয়েন্দা টীম এই ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উল্লেখিত আসামীদেরকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং এই মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে র্যাব-১১’র এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু এক বার্তায় দৈনিক সকালের কাগজকে জানান, পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহনের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।