এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, গণতন্ত্রী পার্টির যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক অশোক ধর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মুস্তাক হোসেন, সাবেক ‘৯০ এর ছাত্রনেতা রাজু আহমেদ, সোনার বাংলা পার্টির নারায়ণগঞ্জ শহরের সাধারণ সম্পাদক মো: আজিজসহ সোনার বাংলা পার্টির নেতা—কর্মী বৃন্দ।
সোনার বাংলা পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান মহাসংকটের প্রধান কারণগুলি হলো— দূতাবাসমূখী রাজনীতি, সংবিধান জনগণের না—হওয়া, ভোটাধিকার না থাকা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি অর্থাৎ ৯০বি ধারাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের অগ্রিম স্বাক্ষর কালো আইন, একতরফা নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, রাজনীতিকে কালো টাকার মালিক ও দুর্নীতিবাজদের হাতে তুলে দেওয়া।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ আব্দুন নুর বলেন, সর্বজনীন কল্যাণে ব্যক্তি, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রের আমূল পুনর্গঠনের কর্মসূচি এই ২৮ দফা। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে গড়ে উঠবে এক নতুন বাংলাদেশ এবং তাতে দেশের প্রতিটি নর—নারীর জীবন উন্নতশীল হবে। ২৮ দফা নিয়ে ছাত্র তরুণদের মধ্যে নতুন আশা ও স্বপ্ন দেখা দিলে, তা প্রেরণায় জনজীবনে এক অপরাজেয় শক্তি সৃষ্টি হবে। সেই শক্তির ফলে বাংলাদেশ পৃথিবীতে সমৃদ্ধ উজ্জ্বল প্রগতিশীল রাষ্ট্রের আদর্শ হয়ে উঠবে। জনসাধারণকেই নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল হক বলেন, নির্বাচনের নামে লুটপাট হচ্ছে, নির্বাচনে সকল মন্ত্রী—এম.পি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আয় বেড়ে ২শত, ৩শত গুণ হলফনামায় পাওয়া গেছে। দুর্নীতিকে তারা রাষ্ট্রায়ত্ত করেছেন। দুর্নীতিকে কমাতে হলে ৭২ সালের যে সংবিধান, তা সংস্কার করতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান আমাদের লাগবে। নির্বাচনের নামে সরকার দেশটাকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের ঐক্য দরকার, মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্য করতে হবে।
নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল অবঃ আ ম সা আ আমিন বলেন, ক্ষমতার মধুচক্র ভাঙতে হবে। আদালত পরিবর্তন করতে হবে। একক ক্ষমতার উৎস পাল্টাতে হবে।