নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বাদ দেওয়া একটি জাতীয় সংবাদ। এটি সকলের জন্য। শুধু রাজনীতিবিদদের জন্যই না, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের জন্যও। এটা সকলের জন্যই একটি মেসেজ। ইচ্ছে করলেই যা কিছু করা যায় না এবং বলতে পারলেই যা কিছু বলা যায় না। এ বিষয়টি কিন্তু সকলের জন্য। দায়িত্বশীলদের নয়, সকলের জন্যই এ বিষয়টি সমভাবে প্রযোজ্য। এই সীমারেখার বাইরে চলে গেলে তার যে কি পরিণতি হয়, তার একটা উদাহরণ, দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো ডা. মুরাদের অপরিণত বিদায়ের মধ্য দিয়ে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ, রাজনীতিবিদদের বিরোধী রাজনৈতিকদের উদ্দেশ্যে নোংরা মন্তব্য, কটূক্তি করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে দৈনিক সকালের কাগজের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
বিরোধীদের নোংরা রাজনীতি প্রসঙ্গে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এই যে রাজনীতির শিষ্টাচার, লাগামহীন কথা যে বলা যায় না অর্থাৎ লাগাম টেনে ধরার যে শিক্ষা তা নিতে হবে। এর জন্য কেউ যদি মনে করেন পাল্লা দিয়ে করতে হবে তা ঠিক নয়। আবার এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য নিয়ে কথা বলতে গেলে এখন আর একটি বিষয় চলে আসবে। বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ, যা নারী জাতির প্রতিই নয়, গোটা জাতির জন্য অসম্মান জনক। দেশে-বিদেশে, মানুষের কাছে বিএনপির নেতারা যেসব কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখছে তা অশুভ রাজনীতির ইঙ্গিত। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যে ভাষায় কথা বলেছে, এটা কোনো রাজনীতির ভাষা নয়। এটা কোনোভাবেই মানুষের ভাষা না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমি মনে করি, এটা কোনো রাজনীতির ভাষা হতে পারে না। এ ধরণের কুলাঙ্গারদের নির্বাসনেই শুধু নয়, এ ধরণের কুলাঙ্গারদের আইনের আওতায় এনে এদেরকে বিচার করতে হবে। এরা তো বিচারহীনতার সংস্কৃতির মধ্য দিয়েই তো এই সমস্ত আলালদের জন্ম হয়েছে। এরা আলালের ঘরের দুলাল। এরা রাজনীতির আলাল নয়। এই অপরাধীদের আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির আওতায় এনে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আছে, সেটাকে রক্ষা করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের যে অশুভ শক্তি, এই অশুভ শক্তি সবসময় অশুভ রাজনীতি করে। এরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। এরা ধর্মকে ব্যাবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। এরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে ধৃষ্টতাপূর্ণ, কুরুচিপূর্ণ, অবাঞ্ছিত কথা বলে, তা অমার্জনীয় অপরাধ। এই অপরাধের বিচার করার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে, বিশেষ করে নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, যারা নারীকে সম্মান জানাতে পারে না, যারা মা-কে সম্মান জানাতে পারে না, যারা বোনকে সম্মান জানাতে পারে না, তারা আর যাই হোক, রাজনীতির বিষবৃক্ষ। এই বিষবৃক্ষদেরকে মূলোৎপাটন করা প্রয়োজন। আমি আহ্বান করবো সকল পর্যায়ের নারী ব্যক্তিরা এবং নারী জাগরণে, নারীর ক্ষমতায়নে এবং নারীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে যারা কাজ করে, সকলকে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালদের মতো কুরুচিপূর্ণ এই অশুভ শক্তির পূজারিদেরকে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য। আমরা মনে করি, বিএনপির শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। এদের দল যদি সত্যিকার অর্থেই রাজনৈতিক দল হয়, তবে আলালকে বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিকে আরো উন্মুক্ত করার জন্য তাদের এগিয়ে আসা উচিত।