অনলাইন ডেস্ক।।
ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ জন তরুণ-কিশোরী ঘটনাস্থলেই নিহত এবং গুরুতর আহত ৫ জন। খন্দকিয়া গ্রামে মরদেহগুলো সারি বেধে দুর্ঘটনাস্থলের পাশে রাখা হয়েছে।
অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কের আমানবাজার থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে খন্দকিয়া গ্রাম। এমন দুর্ঘটনায় এই গ্রামের মানুষ এখন স্তব্ধ। এলাকার লোকজন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ১১ তরুণের চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা। নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। সবার চোঁখেমুখে শোকের ছায়া।
গতকাল (২৯ জুলাই) শুক্রবার দুপুরে মিরসরাই বড়তাকিয়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ জন আরোহী নিহত হন। গুরুতর আহত হন অন্তত পাঁচজন। হতাহত সবাই আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারে ছাত্র-শিক্ষক। তাঁদের সবার বাড়ি খন্দকিয়া গ্রামে। তাঁরা মিরসরাইয়ে ঝরনা দেখতে যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ মিঞা সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিহত সবাই স্কুল-কলেজের ছাত্র। পাশাপাশি তারা গ্রামে কোচিং সেন্টার চালায়। এলাকার মেধাবী এতগুলো ছেলে একসঙ্গে চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। এই শূন্যতা কীভাবে পূরণ হবে বুঝতে পারছি না।’
বিকেলে খন্দকিয়া গ্রামের যুগীর হাট এলাকায় ঢুকতেই দেখা যায়, রাস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ, কেউ একা দাঁড়িয়ে, কেউবা জটলা করে নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন। সবাই বিষাদগ্রস্ত। এখানে বাজারের পাশে কোচিং সেন্টারটি অবস্থিত। এলাকার আশপাশের শিক্ষার্থীরা সেখানে কোচিং করে। দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কোচিং সেন্টারের চারজন শিক্ষক রয়েছেন।
রাস্তায় কেউ একা দাঁড়িয়ে, কেউবা জটলা করে। সবাই বিষাদগ্রস্ত
রাস্তায় কেউ একা দাঁড়িয়ে, কেউবা জটলা করে। সবাই বিষাদগ্রস্তছবি: সৌরভ দাস
যুগীর হাট বাজারে আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, দুর্ঘটনাটির কথা শোনার পর থেকে তিনি কান্না ধরতে রাখতে পারছেন না। রহিমের মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে রিকশাচালক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমি শোনার পর চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। সবাই এলাকার ছেলে। তাদের পরিবারের কী হবে। মা-বাবা কীভাবে নিজেদের সান্ত্বনা দেবে।’