শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল।
তিনি সিভিল প্রশাসনের প্রধান হওয়ার পরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সামলে নিতে একবিন্দুও পিছপা হচ্ছেন না । নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে তিনি সরকারি স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি আইন শৃংখলা পুনরুদ্ধারে লড়াই করে আসছেন।
দিনে রাতে তার কোন নিস্তার নেই। নেই আরাম আয়েস ও দুচোখে ঘুম। থানা পুলিশের সহায়তা না পেয়ে সাধারণ মানুষ রাত ১২ টা,১ টা, ২টা, ৩টা নেই প্রায় সময় নানা সমস্যার প্রতিকার চেয়ে ফোন করছেন তাকে।
এ ছাড়া তার দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সরকারি সম্পদ রক্ষা ,অবনতি হওয়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
আশরাফুল আলম রাসেল গত ৪ মাস পুর্বে ঝিনাইগাতী উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে পদায়ন করেন। এর আগে তিনি শেরপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এদিন বিকাল থেকে শতশত দুর্বৃত্ত রাস্তায় রাস্তায় নেমে আসে।
তারা চালায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ। উপজেলা ভুমি অফিসে অগ্নিসংযোগ ভাংচুর ও অফিসের গাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এলাকায় চলে নানা বিষয়ে দখলদারিত্ব। এসব বিষয় নিয়ে আতঙ্কে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে পুলিশ প্রশাসন।
এলাকায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে সাধারণ মানুষ ও বিচার প্রার্থীরা। মাঠে দেখা যায়নি পুলিশ।
কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল মাঠ ছারেননি। তিনি সাহসীকতার সাথে সকল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যান।
তার সাহসীক পদচারনায় যেমন উপজেলাবাসীকে উৎসাহ যোগিয়েছে। তেমনি উপজেলাবাসীর কাছ থেকে তিনি প্রশংসিত ও হয়েছেন।
পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন কাজে যোগদান করলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে ঘুরে দ্বারাতে পারেনি। ফলে এলাকায় মাদকাসক্ত ও জুয়ার আসর বসানোসহ অপরাধ প্রবনতা বাড়ছে। সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচারকারীরা ও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
অথচ সিভিল উপজেলা প্রশাসনের প্রধান হিসেবে তার দায়িত্বের আওতায় থাকা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটপাট বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, সরকারি জমি বেদখলের বিষয়ে উদ্ধার তৎপরতা।
আইন শৃংখলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে তার সাহসী ভুমিকায় এলাকাবাসীর মধ্যে আসার আলো যুগিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে এসব আমার কর্মকাণ্ডের দায়িত্বের মধ্যে না পরলে আমি এ দেশের একজন নাগরিক ও সাধারণ মানুষ হিসেবে ও মানুষের পাশে দ্বারানো কর্তব্য।
তিনি বলেন, আমার নিজের কষ্টকে আমি কষ্ট মনে করছি না। আমার উপজেলার মানুষ যদি ভাল থাকে আর মানুষের পাশে দ্বারাতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।