শুক্রবার ২২ নভেম্বর তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণঅভ্যুত্থান সমর্থক মঞ্চের আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তথা রাষ্ট্রের আমূল সংস্কার, জুলাই বিপ্লবের উদ্দেশ্যকে রক্ষা ও বাস্তবায়নের করার লক্ষ্যে সকল বিপ্লবী ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে একটি নতুন ফ্লাট ফরম গঠনের উদ্দেশ্য উম্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেন।
আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী অনেক এক্টিভিষ্ট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ৫ আগষ্ট বিপ্লবী ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে ও খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। এতে শহীদ হন দুই হাজারের অধিক ছাত্র-তরুণ-শ্রমিক-জনতা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তথা রাষ্ট্রের আমূল সংস্কার।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল সব ধরনের অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, গুম, খুন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে জনগণের গণরায় ও ইশতেহার। ছাত্র জনতা স্বপ্ন দেখেছিল একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস অতিবাহিত হতে না হতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট থেকে দূরে সরে গিয়েছে। সবাই আপোষের পথ বেঁছে নিচ্ছে, আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে আপোষ, আওয়ামীলীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়ার ক্ষেত্রে আপোষ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে আপোষ, সংবিধান প্রশ্নে আপোষ, গণহত্যার বিচারের ক্ষেত্রে আপোষ, খুনিদের গ্রেফতার প্রশ্নে আপোষ, লীগের অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়ার ক্ষেত্রে আপোষ।
ঠিক এই মূহুর্তে একটি সত্যনিষ্ঠ প্লাটফর্ম প্রয়োজন যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা থেকে একচুলও সরবে না, যারা গণঅভ্যুত্থান প্রশ্নে কোন আপোষ করবে না, যারা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে সুরক্ষা করতে প্রস্তুত থাকবে। এই গণ অভ্যুত্থান যদি বেহাত হয়ে যায় তাহলে এর ভয়াবহ পরিনতি আমাদের ছাত্র-জনতাকেই বরন করতে হবে। এমতাবস্থায়, আমরা বেহাত হয়ে যাবার দ্ধারপ্রান্তে থাকা এই গণঅভ্যুত্থানকে রক্ষায় একসাথ হয়ে কাজ করা জরুরি হয়ে পরেছে।
আলোচনায় বক্তারা গণঅভ্যুত্থান সমর্থক মঞ্চ আথবা জুলাই গণঅভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনে সম্মত হয়েছে। যেখানে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সকল বিপ্লবী ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণ থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ দেলোয়ার হোসাইন, চেয়ারম্যান জাতীয় জনতার জোট, লেখক ও সংগঠক নফিউল ইসলাম, একটিভিস্ট আবু বকর সিদ্দিক প্রান্তর, মানবাধিকার কর্মী মুনতাছির রহমান, সমিউল আজিম, শাহরিয়ার সোহাগ, মুহাম্মদ ইব্রাহিম ,মহাথির মাহমুদ, মোঃ লোকমান হোসাইন, মাওলানা রায়হানুল কবির, সহ অনেকেই।