আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধা সদর থানার ৪নং সাহাপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গর্ভবতী নারী সহ ৫ জন আহত। গর্ভবতী নারীর ৫ মাসের গর্ভের বাচ্চা নষ্ট। থানায় এজাহার দাখিল।
দাখিল কৃত এজাহার সূত্রে ও সরেজমিনে দেখাগেছে,দৌলতপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে দরিদ্র রিকশা চালক মুকুল মিয়া (৪০)’র সাথে ভাগি শরিক মৃত গফুর মিয়ার ছেলে জায়দাল হক তাঁর ছেলে হিরু ও ফিরোজ গং-দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমা জমির বিরোধ চলছিল।
আর এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার ৯ জুলাই সন্ধয়া ৭টার দিকে নিজ বাড়ির উঠানে (খুলিতে) বসে ছিলো মুকুল মিয়া।
আর এ সময় কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই অতর্কিত হামলা করে জায়দাল মিয়া,তাঁর ছেলে হিরু মিয়া ও ফিরোজ কবির সহ ১৫/২০ জনের একদল ভাড়াটিয়া লোকজন।
এ হামলায় গুরুতর আহত হয় মৃত চান মিয়ার ছেলে মুকুল (৪০),তাঁর বড় ভাই আনিছ মিয়া (৪৫),ফিরোজা বেগম (৫২) ও ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মনিরা বেগম (৩২)।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং গুরুতর আহত মুকুল (৪০)’কে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবং ৪ মাসের গর্ভবতী মনিরা বেগম (৩৩)’কে প্রতিপক্ষের মারপিট ও লাথির আঘাতে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়েছে বলে জানান তারা।
উল্লেখিত প্রতিপক্ষ হিরু ও ফিরোজ গং-দের মারপিটে আহত হয়েছেন বলে আহতরা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান।
তবে অভিযুক্তদের মন্তব্য নিতে তাদের বাড়িতে যেয়েও দেখা না পাওয়ায় বক্তব্য/মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে আহত আনিছ মিয়া সরকার সাংবাদিকদের জানান, আমি নিজে অসুস্থ অবস্থায় বাদী হয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় একখানা এজাহার দাখিল করে থাকি।