নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নজরুল ইসলাম মনিরুল মনু বলেছেন, ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবরের এ নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এটি সিল মারামারি নির্বাচন নয়।এজন্য আপনাদের নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যাওয়া অত্যান্ত জরুরী। আশা করি আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকার প্রতীকে ভোট দিবেন।
তিনি বলেন, আমরা এই নির্বাচন চাই উৎসবমুখর। এই নির্বাচনে প্রমাণ করবে আ. লীগের জনপ্রিয়তা কত। তাই আপনারা নিজে ভোট দেবেন এবং আত্মীয়-স্বজন আশেপাশে যারা থাকবেন তাদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আপনারা আমাকে নৌকার প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাদের পাশে থাকার সুযোগ করে দিবেন।
আজ যাত্রাবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগে ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ইনশাল্লাহ আমিও নির্বাচিত হলে আপনাদের পাশে থেকে সেবা করে যাবো।
মনির ইসলাম বলেন, আমি এমপি হলে আমার দরজা আপনাদের জন্য সব সময় খোলা থাকবে। যদি সংসদ সদস্য হয় আপনাদের মনু আপনাদের থাকবে।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের এলাকার কৃতি সন্তান এই কাজী বাড়িতে আমার জন্ম এখানেই বড় হয়েছি। অনেকে আমার বড় ভাই বন্ধু আত্মীয়স্বজন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে ভালোভাবে চেনেন। আমি কখনো কোন অন্যায় করি নি, সবসময় আপনাদের পাশে থেকে সাধ্যমত কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।
মনু বলেন, আজ নেত্রী আমাকে ভালোবেসে এ এলাকায় মনোনয়ন দিয়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে নির্বাচন শেষ করে ইনশাআল্লাহ আমরা জয়যুক্ত হয়ে নেতাকে ঢাকা ৫ উপহার দিবো।
মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ বর্তমান একটি উন্নয়নশীল দেশ এদেশের সকল উন্নয়ন আমার নেত্রী করেছেন। আপনারা দেখছেন পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। সেইসঙ্গে রাজধানীতে অনেক ফ্লাইওভার হয়েছে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমান সরকার অনেক কাজ করেছে।
মনু বলেন, দেশের উন্নয়ন ও আমার নেত্রীর প্রশংসা বলে শেষ করা যাবে না। তাই আমি আপনাদের সামনে বেশি কথা বলতে চাই না, এতোটুকুই দাবি নির্বাচনের দিন আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন নৌকার প্রতীকে ভোট দিবেন ইনশাল্লাহ আমাদের বিজয় হবেই।
নৌকার এ প্রার্থী আরো বলেন, আমি অত্র এলাকার সংসদ সদস্য হলে এ ডেমরা এলাকায় দুটি সরকারি স্কুল কলেজ করে দিবে ইনশাল্লাহ। এলাকায় একটি হসপিটাল নাই আমি নির্বাচিত হলে ইনশাল্লাহ নেত্রীর হাতে পায়ে ধরে হলেও একটি হসপিটাল করবো। অবহেলিত রাস্তাঘাট উন্নয়নের লক্ষ্যে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো।
এসময় প্রধান বক্তার বক্তব্যে মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, এ নির্বাচনে যদি আপনারা ভোট না দেন তাহলে নেত্রী তেমন উনি খুশি হবেন না। আমি যেহেতু আপনাদের এলাকার কৃতি সন্তান এজন্য আপনাদের কাছে দাবি আমি এ এলাকা থেকে ফার্স্ট ডিভিসনে পাস করতে চাই। এজন্য আপনাদের সহযোগিতার কোন বিকল্প নাই।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এত উন্নত হবে, মেট্রোরেল হবে, অলিতে গলিতে উন্নয়ন হবে, সারা দেশ উন্নয়ন হবে, বিএনপি কখনো কল্পনা করতে পারি নাই।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কালোকে কালো বলা ধরেন সাদাকে সাদা বলা ধরেন। অন্ধের মত চিন্তা করবেন না।আপনারা শুধু দেশের টাকা হরিলুট করেছেন দেশের উন্নয়নে কোন কাজ করেননি। বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিনের কাছ থেকে টাকা খেয়ে, নবীউল্লাহ নবী কে বাদ দিয়ে আপনারা বহিরাগতকে এখানে মনোনয়ন দিয়েছেন। কোন বহিরাগতকে যাত্রাবাড়ী এলাকার মানুষ মেনে নিবে না। নবীউল্লাহ নবী এলাকার সন্তান সে হলে এলাকার মানুষ কিছুটা মেনে নিতো। কারণ মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করার দলকে এদেশের মানুষ পছন্দ করে না।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এবিএম সিরাজুল কবীর কাউসার (সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি),বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন (সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ), প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন, (অত্র এলাকায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) হারুনর রশিদ মুন্না।
এ আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব এম এ মান্নান সভাপতি ৪৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ,অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী শামীম আহমেদ সাধারণ সম্পাদক ৪৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, এছাড়া প্রমুখ নেতাকর্মীরা উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।