নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত প্রহসনের একতরফা নির্বাচন বাতিল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন বলেন, আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র ভারতের সহযোগিতায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ৭ই জানুয়ারি আবারো একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনগণ দিশেহারা, একটু কম দামে টিসিবির পণ্য পাওয়ার আশায় মানুষ গভীর রাত থেকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। গাড়ি আসলে মানুষ গাড়ির পিছনে ছুটোছুটি করে, কম দামে পণ্য পাওয়ার আশায়। এতে কেউ পায়, কেউ পায় না। দেশে নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আশঙ্কা করছেন ২০২৪ সালে দুর্ভিক্ষ হবে। একজন প্রার্থী বলেছে তিনি নাকি ভারতের মনোনীত প্রার্থী। ভারতের মনোনীত কতজন প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে পরিষ্কার করতে হবে। জাতীয় পার্টি মনোনীত এমপি প্রার্থীরা তাদের পোস্টারে লিখে আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তারা তাদের পোস্টারে প্রতিষ্ঠাতার ছবি ব্যবহার না করে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করছে। তাহলে জাতীয় পার্টি কি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন, বিরোধীদল কারা। এই যদি দেশের অবস্থা হয় তাহলে ৭ই জানুয়ারি যে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে সেটি জাতির সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। এই তামাশার নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে ও তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।তিনি বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে এক মঞ্চে এসে তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী ও দেশ প্রেমিক নাগরিক চেয়ারম্যান আহসানুল্লাহ শামীমের সভাপতি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী দেশ রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সানোয়ার হোসেন. গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মুফাসসের অধ্যাপক বজলুর রহমান আমিনি, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম আসাদ, গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।