জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম’র উদ্যোগে (২২ আগস্ট) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় আব্দুস সালাম হলে “জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ছাত্র—জনতাকে গণহত্যার দায়ে খুনি হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিগত ১৭ বছরের জন্য একটি লোক দায়ী, বিচারপতি খায়রুল হক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করার ফলে যত লোক খুন—গুম হয়েছে, পাচার হয়েছে তার সব দায় খায়রুল হককে নিতে হবে। তাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে কী উদ্দেশ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে এতো ঝামেলা করেছে তা জানতে হবে।’
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘‘১৭ বছরের জঞ্জাল ১৭ দিনে সমাধান হবে না। প্রেসক্লাবে আগে বসেছিলেন, দুদিন পরপর পিটিয়ে উঠিয়ে দেওয়া হতো। শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতেন। এসব আমরা দেখেছি। বিএনপি যেখানে সময় দেওয়ার কথা বলছে, আপনারা এতো চাপ সৃষ্টি করছেন কেন? আমরা সরকারকে বলেছি, যৌক্তিক একটা সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সেদিন পর্যন্ত কোন রকম সংঘর্ষ, কোনও কুকীর্তিতে যেন আমরা না যাই।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনার জন্য নানান মামলা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই শাসনের অবসান হয়েছে। প্রথমে ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। পরে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই। যারা এতে অবদান রেখেছেন তাদের সাধুবাদ জানাই। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, বিএনপির ২০৪ জন নেতাকর্মী এই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যা, হলি আর্টিজানে হত্যা, শোলাকিয়ায় হত্যাকাণ্ড, সাগর—রুনি হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে এমন কোনও কর্মকাণ্ড নেই; যা বিগত সরকার করেনি। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান— সবাইকে নির্যাতন করেছে। জায়গা দখলের জন্য সাঁওতালদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রামু, নাসিরনগরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। রানাপ্লাজা ধসে ১ হাজার ২০০ শ্রমিকের জীবন যাওয়ার পর মন্ত্রী এসে বলেছে, বিএনপি বিল্ডিং ধরে নড়াচড়া করেছে। হাসিনা এমনভাবে কথা বলতো যে, তার মতো দাম্ভিক আর দুনিয়াতে নেই। চট্টগ্রামে গিয়ে জনসভায় বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কি শাড়ি—চুড়ি পরে বসে থাকেন, একটা লাশ পড়লে ১০টা লাশ পড়তে হবে।’
জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম’র সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ. এম. স্বপন রানার পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপি’র ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, কৃষকদলের সহ—সভাপতি খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহীম, ওলামা দলের সদস্য সচিব এ্যাড. মাওলানা আবুল হোসেন, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনির, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মোঃ শাহ আলম, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম’র সহ—সভাপতি আনোয়ার চৌধুরী, মজিবুর রহমান, শামসুজ্জোহা, এনামুল করিম মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, মোঃ সুমন, ইঞ্জিঃ সুমন, আরিফ হোসেন, সহ—সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিক, রাজীব আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ. এম. স্বপন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ লিটন হোসেন, যুব বিষয়ক সম্পাদক বরকত পাটোয়ারী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল পাটোয়ারী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূর ইসলাম, ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মনির হোসেন, আলমগীর হোসেন, মোঃ মানিক, মোঃ মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক অপু প্রমুখ।