নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাষ্ট্রীয় অনিয়ম, দুর্নীতির ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে আজীবন প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিলেন ভাষা সৈনিক অলি আহাদ মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, শাসকের অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবনে জেল খেটেছেন অন্তত ১৭বার। তবু আপোষ করেননি। আপোষ বলে কোন শব্দ ছিল না তার জীবনে। রাজনৈতিক ইত
হাসের এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম হচ্ছে ভাষা বীর, ভাষা সৈনিক অলি আহাদ। একজন চীর বিপ্লবী, চীর বিদ্রোহী রাজনীতিকের নাম অলি আহাদ। বুধবার (২০ অক্টোবর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে “ভাষা সৈনিক অলি আহাদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে নাগরিক স্মরণ মঞ্চ আয়োজিত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে সকল সামরিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপোসহীন ভূমিকার কারণেও তিনি নিগৃহীত হয়েছেন বার বার। শাসকদের দুর্নীতি-দুবৃত্তায়ন, স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে তার কন্ঠ ছিল সকল সময়ই সোচ্চার। এখানে তিনি কোন আপোষ করেন নাই। বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে পরিচালিত সকল সংগ্রামে অকুতোভয় এই লড়াকু জননায়ক আজীবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বলেন, নীতির প্রশ্নে আপোষহীন পথে সারা জীবনের যাত্রা ছিল অলি আহাদের। রাজনীতি সংগ্রামের দুর্গম গিরি মরু পেরিয়ে তাঁর সেই যাত্রা আজীবন অব্যাহত ছিলো। যেখানইে স্বৈরাচারী একনায়ক, কিংবা যেখানেই গণতন্ত্রের নামাবলি গায়ে- দেয়া কোন ফ্যাসিস্ট শাসক, সেখানেই তাদের গণবিরোধী ভূমিকার বিরুদ্ধে অলি আহাদের কন্ঠ বর্জনির্ঘোষ। অলি আহাদের এই আপোষহীন রাজনীতির ফসল যারা ভোগ করেছেন তারাও তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারেন নাই। স্মরণ মঞ্চের সমন্বয়কারী ও এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় পার্টি ঐক্যপক্রিয়া সমন্বয়ক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জাসদ উপদেষ্টা এনামুজ্জামান চৌধুরী, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান, মিতা রহমান প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ভাষা সৈনিক অলি আহাদ আমাদের জাতীয় জীবনের অহঙ্কার। তার জীবন আমাদের অধিকার আদায়ের, গনতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে অনুপ্রেরনা যোগায়। জাতীয় এক্যের স্বার্থেই তাকে স্মরণ করা প্রয়োজন।