বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ
সড়কে কাঁচা চা পাতা ঢেলে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে, কাঁচা চা পাতার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণসহ আট দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ক্ষুদ্র চা চাষিরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় শেরেবাংলা পার্ক সংলগ্ন পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে জেলার বিভিন্ন এলাকার তিন শতাধিক চা চাষিরা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ইংরেজরা যেমন নীল চাষে দেশের চাষিদের রক্ত চুষে ছিল। তেমনি পঞ্চগড়ের চা-কারখানা মালিকসহ সিন্ডিকেট চক্রটি চা চাষিদের রক্ত চুষে খাচ্ছে। চাষিদের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। চা পাতার ওজন কর্তন করে দাম কম দিয়ে চাষিদের হয়রানি করা হচ্ছে। তৈরি চায়ের দাম বাজারে থাকলেও কাঁচা চা পাতা বিক্রির সময় চাষিরা নায্য দাম পান না।
তারা আরও বলেন, চা চাষের শুরুর দিকে যেখানে এক কেজি সবুজ চা পাতার মূল্য ছিল ৪০-৫০ টাকা। এখন তা সিন্ডিকেটের কারণে নেমে এসেছে ১৬-১৭ টাকায় এবং ২০-৫০% কর্তন করে চাষিদের অর্থ পরিশোধ করা হয়। যেখানে এক কেজি ভালো মানের সবুজ চা পাতা উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ৩০-৩৫ টাকা। ফলে পঞ্চগড়ের চা চাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আট দফা দাবিগুলো হলো–প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার সর্বনিম্ন মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণ, সকল উপজেলায় একাধিক সরকারি চা প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপন করে সরকারিভাবে কৃষকের পাতা ক্রয় করতে হবে, উন্নত সেচ ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সার প্রদান, সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান, সরকারি উদ্যোগে চা কারখানা গড়ে তোলা ও চা চাষিদের স্বার্থ সংরক্ষণ হয় এমন নীতিমালা প্রণয়ন।
সমতলের ক্ষুদ্র চা বাগান কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় এনে ভর্তুকির মাধ্যমে চা চাষীদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, কীটনাশক, প্রয়োজনীয় সার, তেল, বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করতে হবে, চা-পাতার সকল কর্তন এবং সিন্ডিকেটকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে,
বেসরকারী কারখানায় উৎপাদিত তৈরী চা নিলাম মূলে ৭০% পাতার দাম এবং ৩০% কারখানার প্রক্রিয়ার খরচ বাবদ নির্ধারণ করে আইন পাশ করতে হবে।
সমতলের ক্ষুদ্র চা বাগান কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় এনে ভর্তুকির মাধ্যমে চা চাষীদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, কীটনাশক, প্রয়োজনীয় সার, তেল, বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করতে হবে, চা-পাতার সকল কর্তন এবং সিন্ডিকেটকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে,
বেসরকারী কারখানায় উৎপাদিত তৈরী চা নিলাম মূলে ৭০% পাতার দাম এবং ৩০% কারখানার প্রক্রিয়ার খরচ বাবদ নির্ধারণ করে আইন পাশ করতে হবে।
Tags: চা