তারা বলেন, ‘চাল আমদানির সুযোগ ও শুল্ক কমানো হলেও পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়। ধানের উৎপাদনে ঘাটতি নেই, ব্যবসায়ীদের কাছে ধান-চাল যথেষ্ট মজুতও রয়েছে। তবুও মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে শুধুমাত্র মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অভাবের কারণে। পূর্বে সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়ে মিলারদের চাপে রাখলেও এবার তেমন কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ধসৎ ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে চালের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। চালের মূল্যবৃদ্ধির পেছেনে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করছেন পাইকার ও মিলাররা। শুধু করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করলে চলবে না। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিলার ও পাইকাররাও মূল্য বৃদ্ধি করছে। অন্যদিকে চালের বাজারে খাদ্য বিভাগ, ভোক্তা অধিকার বা জেলা প্রশাসনের কোনো রকম তদারকি নেই বললেই চলে। চালের বাজার তদারকির বাইরে রয়েছে। এ কারণেও দফায় দফায় চালের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। ’
তারা বলেন, ‘পণ্যের মূল্য হ্রাস করতে আমদানি শুল্ক কমানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। এর মূল কারণও সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা। মিলারদের কারসাজিতে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যারা চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে সিন্ডিকেটের সদস্যরা মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার ও জনগনকে মুখোমুখি দাড় করাবে। যা রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হবে না।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। এর মধ্যেই সরকার যে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি করেছে তাতে সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ছে। ভরা মৌসুমেও ভোক্তাকে বেশি মূল্য দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়ছে ভোক্তা শ্রেনী। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের উপদেষ্টা আর কর্তা ব্যক্তিরা শুধু শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে নীতি বাক্য বললেই বাজার নিয়ন্ত্রন হবে না। মনে রাখতে জনগনের পেটে ভাত না পড়লে কোন নীতিকথা কাজে লাগে না।’