তারা বলেন, নিয়োগের সময় গেইট কিপারদের বেতন নির্ধারণ করা হয় সর্বসাকুল্যে ১৪,৪৫০/— টাকা। বিগত ৫ বছরে এ বেতন বাড়েনি। বেশির ভাগ গেইটকিপার তাদের নিজ জেলা ব্যতীত অন্য জেলায় চাকরি করেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে বাসা ভাড়া, পরিবারের ভরণপোষণ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। অপরদিকে প্রায় সকলের বয়স ৩২ বছর অতিক্রম করায় অন্য চাকরিতেও ঢোকার সুযোগ নেই। নং—মপবি/ক:বি:শা:/কপগ—১১/২০০১—১১, তারিখ: ০৩/০৫/২০০৩ ও নং—মপবি/ক:বি:শা:/মক—০১/২০০৩—২৮, তারিখ: ২২/০১/২০০৩ প্রজ্ঞাপন মূল্যে অস্থায়ীভাবে সৃজনকৃত পদ হইতে রাজস্ব খাতে প্রেরণ করা সম্ভব। অথচ আমাদের চাকরির মেয়াদ প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই অবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আমাদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমাদের আমরণ অনশত অব্যাহত থাকবে। এতে কোন প্রকায় ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে।
সকাল ১১:৩০ মিনিটে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন অনশন স্থলে এসে অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে দাবি মেনে নেয়ার কোন সুর্নিদিষ্ট ঘোষণা না আসায় গেইট কিপাররা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দেন।
অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিভাগের গেইট কিপার সুজন আহমদ, মোঃ আল মামুন, কাওছার, মাহাবুব আলম মাফুল, আলফাহাজ, চট্টগ্রাম বিভাগের জাবেদুল হক, মোঃ মাসুদুল ইসলাম, পাকশি বিভাগের রূপা পারভীন, কাজী পিয়াশ, সোহেল, ছোটন প্রমুখ।