আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের হাসবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী(ঝাড়ুদার/নৈশ প্রহরী) মেহেদুল ইসলামের পরিচালনায় স্কুলের একটি কক্ষে নিয়মিত জমজমাটভাবে জুয়ার আসর চলে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও হোসেনপুর ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য আনোয়ারা বেগমের স্বামী মো. মেহেদুল ইসলাম প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত জুয়াড়িদেরকে নিয়ে স্কুলের শ্রেণী কক্ষে প্রায় লক্ষাধিক টাকার খেলা চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগে উঠে এসেছে।
গত (১১ জুন) রবিবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে স্কুলের নতুন ভবনের তিনতলার একটি শ্রেণীকক্ষে আলোসহ লোকজনের গুঞ্জন শুনতে পায় স্থানীয় লোকজন।,পরে আরো কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে উক্ত কক্ষে গেলে খেলারত জুয়ারিদেরকে হাতে-নাতে ধরে ফেলেন তারা।
কোন উপায় না পেয়ে একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের ঝাড়ুদার মেহেদুল ইসলাম উপস্থিত লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে জুয়ারীদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এলাকাবাসী জানায়,মেহেদুল ইসলাম ঝাড়ুদার ও নৈশ প্রহরী হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন যাবত স্কুলে নানান অপকর্মসহ রাতে বিভিন্ন এলাকার জুয়াড়ীদের একত্রিত করে জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিল।
তারা আরো জানান,আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারি না,কারণ তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম হোসেনপুর ইউপির ওয়ার্ড মেম্বার এবং অনেক বড় বড় লোকের সঙ্গে তাঁর হাত রয়েছে।
মেহেদুলের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বিদ্যালয়টির দীর্ঘদিনের যে সুনাম ছিল, তা এখন নষ্ট হতে বসেছে।
এ বিষয়ে হাসবাড়ি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহারুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমরা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিসহ বসে মেহেদুল ইসলামকে মুচলেকা নিয়ে এই মর্মে ছেড়ে দিয়েছি। সে পরবর্তীতে আর কখনো এমন কাজ করবে না।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও হোসেনপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু’র সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান,আমি এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছুই জানিনা,তবে জুয়া খেলার বিষয়টি সত্য হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।