দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে ঢাকার ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তন চট্টগ্রামের হাজারী লেনসহদেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতার প্রশমনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, হিউম্যান রাইটস্ কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিস (ঐজঈইগ) কনভেনার এ্যাড: লাকী বাছাড়।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং সরকার পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের উপর সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনার চিত্র দেখা যায়। আমাদের প্রতিনিধি, মিডিয়া ও পত্র পত্রিকার মাধ্যমে সারাদেশে ৪৩ টি এর অধিক ধর্ষন ও গণধর্ষন এর ঘটনার চিত্র আমরা দেখতে পাই। অনেক জায়গায় লোক লজ্জা ও দুর্বৃত্তদের ভয় ভীতির কারনে প্রশাসনের কাছেও যেতে পারেনি। বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ধর্মীয় উপসনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটে। অনেক জায়গায় থানায় গিয়ে কোনো ধরনের বিচার পায়নি। নিরিহ সংখ্যালঘুরা বিচার না পেয়ে, অধিকাংশ থানায় পুলিশ প্রশাসন এর নিরব ভুমিকা থাকায় সংখ্যালঘুরা মর্মাহত হয়ে বারবার দুর্বৃত্তদের কবলে পরছে। অদ্যাবধি সংখ্যালঘুরা কোনো বিচার পায়নি। উপরন্তু তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় গুম, হত্যা, দেশ ত্যাগে বাধ্য করন এর ঘটনা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। নির্যাতিত পরিবার গুলি বিচার না পেয়ে পথে পথে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের সনাতনী শিক্ষকদের এবং বিভিন্ন পর্যায়ে সংখ্যালঘু চাকরিজীবী দের জোর পূর্বক অবসর ও অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতিদের উপর সংঘটিত বর্বরোচিত হামলার সঠিক ও যথাযথ বিচার তারা পায়নি। পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতিরা ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় জীবনযাপন করছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাজারীলেনে সংখ্যালঘুদের উপর ঘটে যাওয়া হামলার কোনো বিচার পাবার আশা তারা ছেড়ে দিয়ে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার কারনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। খুব দ্রুত অনেক নিরপরাধ সংখ্যালঘুদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে খুব দ্রুত প্রশাসন, মিডিয়া ও মানবাধিকার কর্মীদের সাথে নিয়ে সাধারণ ও অসহায় মানুষ গুলো কে পরিকল্পিত মামলার থেকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থার জন্য প্রধান উপদেষ্টা সহ সকল উপদেষ্টা মন্ডলীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিদর্শক টিমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণারয়, সচেতন নাগরিক সমাজ, সকলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাদের প্রতি যেন অন্যায় অবিচার ও রাতের আঁধারে কোর্ট বসে অবিচার যেন না করা হয় এবং অন্যায়ভাবে ধৃতকৃত আসামীদের যেন দ্রুত মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়াও সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঠিক ও যথাযথ বিচার বিভাগীয় তদন্ত, প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ, মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার, আইনি সহযোগিতা নিশ্চিত করে শান্ত, উন্নত ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ার নিমিত্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত, সংখ্যালঘুদের অভিযোগ গুলো থানায় লিপিবদ্ধ করন নিশ্চিতের দাবি জানান। তিনি বলেন দোষীদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে এবং সকলের নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন বাস্তবায়নে ব্যাহত হবে। তাই সমাজ জাতি ও দেশের উন্নয়ন সমুন্নত রেখে সুশীল ও গঠনমুলক সমাজ গঠনে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।