এস এম আরিফুল ইসলাম জিমন, ঘোড়াঘাট:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছে তীব্র গরম। তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
জানাযায়, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন ঘোড়াঘাট উপজেলার বিদ্যুতের এই লাইনটি পরিচালিত হয়। কিন্তুু প্রাপ্য বৈদ্যুতিক সেবা থেকে প্রতিনিয়তই বঞ্চিত এ উপজেলার মানুষ। ঘোড়াঘাট উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত এলাকা হলেও বেশিরভাগ সময়েই থাকে না বিদ্যুৎ!
সরেজমিনে উপজেলার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকার ঘুরে ফিরে মানুষজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে দিনের বেশিরভাগ সময়েই বিদ্যুৎ থাকে না, বিদ্যুৎ আসলেও কিছুক্ষণ পর পর এ অবস্থা চলতেই থাকে দিন-রাত। এ কারনে অনেকেরই বাড়ির বৈদ্যুতিক বাল্ব, ফ্রিজ, টিভি, চার্জার নষ্ট হয়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান পূর্ববর্তী সময় গুলোতে একটু বাতাস উঠলেই বিদ্যুৎ থাকতো না, আর যদি একটু বৃষ্টি হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই, বিদ্যুতের আশা করাটাই বৃথা চেষ্টা ছিলো। কিন্তুু দিনের পর দিন এই পরিস্থিতি আরও খারাপের পর্যায়ে চলে গেছে, এখন বিনা বাতাস বিনা বৃষ্টিতেই থাকে না বিদ্যুৎ। কোন কারণ ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুত না থাকার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা থেকে জনপ্রতিনিধিরা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জোনাল অফিসের ডিজিএম কে বহুদিন থেকে বিদ্যুতের এই সমস্যার কথা বারং বার জানালেও অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। বরংচো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিভিন্নভাবে অজুহাত দেখিয়ে টালবাহানা করে আসছে। রাত নেই দিন নেই নিজেদের ইচ্ছে মতো বিদ্যুৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে বলে দাবি সচেতন মহলের।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি ঘোড়াঘাটে এসে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা তুলে ডিজিএম কে বলেন অন্যান্য উপজেলার চেয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলার বিদ্যুতের কার্যক্রম খুব ¯েøা, কিন্তুু কেন? কাজের গতি বাড়ানোর জন্য ডিজিএম কে জোর তাগিদ দেন জেলা প্রশাসক। তিনি আরও বলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ে চার বছর কাজ করে এসেছি। এ সম্পর্কে আমার একটু হলেও ধারনা রয়েছে। এসময় তাড়াতাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলায় বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করতে বলেন জেলা প্রশাসক।
এবিষয়ে ডিজিএম আব্দুল আলিম বলেন, বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হওয়ায় দুইÑএকটি জায়গায় ইনসুলেটর ট্রাক করার কারণে লাইনের সমস্যা হয়েছিল, পরবর্তীতে সে জিনিসগুলো খুঁজে বের করে পরিবর্তন করে চালু করা হয়েছে। বর্তমানে যে সমস্যা ছিলো সেগুলো আমরা খুঁজে পেয়েছি, এখন মনে হয় আর কোন সমস্যা নেই। এদিকে বৃষ্টিপাত ছাড়াও ভালো আবহাওয়াতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সুনির্দিষ্ট কোন কারন ডিজিএম এর কাছ থেকে জানা যায়নি।