ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বাড়ির প্রাচীর ভাংচুর, গাছ কর্তন, ঘরের চালে আগুন দেয়া ও পরিবারের লোকজনকে হামলার ঘটনা সহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তারাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দাখিল করেছেন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউপির কশিগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী তারাজুল ইসলাম একই এলাকার মৃত ফারাজ সরকারের ছেলে নজরুল ইসলাম গংদের নিকট থেকে ১ একর ৭৩ শতক জমি গত ২৮/০৫/২০১২ তারিখ দলিল নং ১১৭২ সহ একাধিক দলিল মূলে কবলা মূলে ক্রয় করে নিজ নামে খারিজ করে বাড়িঘর নির্মাণ পূর্বক গাছ রোপন সহ জায়গা ভোগ দখল করে আসছিল।
এমতাবস্থায় তফসীল বর্ণিত জমি বিবাদীরা তাদের পৈত্রিক জমি দাবী করে গোলযোগ সৃষ্টি করে জমি জবর দখল সহ মারপিটের ঘটনা সংঘটন করবে বলে দীর্ঘদিন থেকে হুমকী প্রদর্শন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় বিবাদীরা সহ এজাহার বর্ণিত অজ্ঞাতনামা আসামীরা লাঠি, লোহার রড, ধারালো অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধভাবে প্রথমে তফশীল বর্ণিত ওই জমিতে নির্মানাধীন বাড়ীর ইটের প্রাচীর ভেঙে প্রবেশ করে। তারপর বাড়িতে লাগানো ইউক্লিপটাস গাছের চাড়াগুলো উপড়াইয়া ফেলে।
এসময় বাদী তারাজুল তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে বিবাদীদের বাধা দিতে গেলে তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। মারপিট কালে বিবাদী সেলিম চাকু দিয়ে বাদীর চাচাতো ভাই সুজনকে আঘাত করলে তার বাম চোখের ভুরুর উপরি ভাগে লেগে কেটে যায়। বিবাদী কাউছারের লোহার রডের আঘাতে বাদীর চাচাতো ভাই সুমন এর ডান হাতের হাড় ভেঙ্গে যায়। বিবাদী মমিনুজ্জামান এর রডের আঘাতে বাদীর আপন ভাই আনোয়ার এর মাথার খুপড়িতে বাম পার্শ্বে ফেটে যায়। অন্যান্য আসামীরা বাদীসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাপক মারপিট করে ও মহিলাদের শ্লীনতাহানি ঘটায়। বিবাদীদের হামলায় বাদি সহ পরিবারের সকলে গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়।
ঘটনার সময় বাদিদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হলে বিবাদী মমিনুজ্জামান প্লাসটিকের ১টি ট্যাংকিতে রক্ষিত পেট্রোল ঘরের টিনের ছাউনিতে ও বেড়াতে ছিটিয়ে আগুন জালিয়ে দেয় এবং হত্যার হুমকি দিতে দিতে ওই স্থান থেকে তার দলবল সহ পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাদি ও তার পরিবারের লোকজনদের ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নেয়ার পর বাদির ভাই আনোয়ার, ভাই বৌ আরাফাতুন ও দুলালের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান হয়। এ ঘটনায় বিবাদী কর্তৃক বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাংচুর, গাছের চারা কর্তন, টিনের ঘর ও বেড়া পুরিয়ে দেওয়া মিলিয়ে আনুমানিক ৭ লাখ ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানান মামলার বাদী তারাজুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, এ বিষয়ে তারাজুল ইসলাম নামের একজন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tags: ঘোড়াঘাট