নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির করার গণশুনানির নাটকসহ সকল পায়তারা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্যে মানুষ যখন পুড়ছে তখন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা মানুষের ওপর নতুন গজব চাপানোর সামিল। গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতে চুরি, দুর্নীতি-অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার দায়ভার ভোক্তাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের গ্যাস যথাযথভাবে ‘উত্তোলন ও অপচয় বন্ধ’ না করে গ্যাসকে আমদানি নির্ভর করে তোলা হয়েছে। এখন ‘স্পট মার্কেট’ থেকে বেশি মূল্যে গ্যাস কিনে, মূল্য বাড়িয়ে আবার মানুষের পকেট কাটার চেষ্টা হচ্ছে। পেট্রোবাংলার হিস্যা অনুযায়ী দৈনিক যতটুকু গ্যাস উত্তোলন সম্ভব ততটুকু উত্তোলন করলে এবং সিস্টেম লস অর্ধেকে আনতে পারলে গ্যাস আমদানির প্রয়োজন হতো না। অথচ এগুলো না করে কমিশনভোগী ও লুটেরা ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় গ্যাস আমদানি ও দাম বাড়ানোর পথ নেওয়া হচ্ছে।
তারা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ‘পাঁয়তারা’ জনস্বার্থ বিরোধী। জ্বালানি খাতের সঙ্কটের জন্য সরকারের দুর্নীতি, ভুল নীতিই দায়ী, এর খেসারত কেন জনগণকে দিতে হবে? গ্যাস উত্তোলনের সামর্থ্যকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে ও সিস্টেম লস কমিয়ে আনলে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন হবে না। গ্যাসের দাম বাড়লে বিদ্যুতের দাম বাড়বে, পণ্য উৎপাদন খরচ বাড়বে। দ্রব্যমূল্যে অতিষ্ট সাধারণ মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়বে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
নেতৃদ্বয় বলেন, দুর্নীতিবাজদের লুটপাটের শিকার গ্যাস-বিদ্যুৎসহ জ্বালানী খাত। দেশকে এই লুণ্ঠন থেকে রক্ষা করতে, শিল্প কল-কারখানা, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের পাশাপাশি জ্বালানী অপরাধীদের বিচার করার জন্য গণআদালত গড়ে তুলতে হবে। সরকার আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পায়তারা করছে। যে সকল অজুহাতের কথা বলে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়, তা লুণ্ঠন ও দুর্নীতিকে জায়েজ করছে।