সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড এম এ সামাদ বক্তব্য রাখেন সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী তালেবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তি যোদ্ধা কমরেড সামছুল হক সরকার, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু ও ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ভাসানী প্রমূখ।
বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, যুদ্ধবিরতির বিধান লংঘন করে গাজায় ইসরায়েলি সেনারা আবারও নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। যাহা আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন। ১৭ মার্চ রাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত এই মানবতা বিরোধী অপরাধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বক্তব্য নেতৃবৃন্দ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় গনহত্যা শুরু করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের সাথে পরামর্শ করেই এ বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। মধ্যরাতের পরে ঘুমন্ত গাজাবাসীর ওপর এই হামলায় অন্তত ৪০৪ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন। গাজার দক্ষিণের খান ইউনিস ও রাফা, উত্তরের গাজা নগরী এবং মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহসহ গাজার প্রায় সব জায়গায় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। যা শতাব্দীর অন্যতম জঘন্য হত্যাকাণ্ড।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে। আবার সেই যুক্তরাষ্ট্রেরই পরামর্শে যুদ্ধবিরতি লংঘন করানো এক ব্যাপকতর হামলা চালায়। প্রতারণাই যে সাম্রাজ্যবাদের মূল বৈশিষ্ট্য তা আবারও প্রমাণিত হলো।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হামলা বন্ধ, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, বন্দি মুক্তি এবং গাজায় ত্রাণ সাহায্য আরো জোরদার করার জন্য জাতিসংঘ কাছে আহবান জানান এবং মানবতাবাদী বিশ্ব বিবেকের কাছে সাহায্যে নিয়ে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।