আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধা জেলা পুলিশের চাঞ্চল্যকর সাঁড়াশী অভিযানে ১৩টি চোরাই ও আরো জব্দকৃত তিনটি সহ মোট ১৬টি মহিষ উদ্ধার ও আন্তঃজেলা গবাদি পশু চোরের মূল হোতা আলতাফ হোসেনকে গ্রেফতার করায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস কনফারেন্স করা হয়েছে৷
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফুলছড়ি থানা চত্বরে এ প্রেস কনফারেন্সে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইবনে মিজান সাঁড়াশী অভিযানের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন,আপনারা এলাকায় সন্দেহভাজন লোকদের দেখলে এবং এধরণের চোরাকারবারী ঘটনা ঘটলে আমাদের সংবাদ দিবেন অথবা ৯৯৯-এ সংবাদ দিবেন। গাইবান্ধা জেলায় চোরাকারবারী নির্মূলে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে, আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। এ সময় ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কাওছার আলী, টিআই প্রশাসন নূর আলম সিদ্দিক,পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল আজিজ, এসআই মো. আবু ছাইদ সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস কনফারেন্সে সূত্রে প্রকাশ, গত ১২ই ফেব্রুয়ারী/২৩ দিবাগত রাত প্রায় ১০টার পর হতে ১৩ই ফেব্রুয়ারী/২৩ ভোর ৬ টার মধ্যে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ভাজনডাঙ্গা গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে জনৈক মো. জাকাতুল ইসলামের ভাজনডাঙ্গা চরের মহিষ ঘর হতে অজ্ঞাতনামা চোররা বিভিন্ন বয়সী মোট ১৩টি মহিষ চুরির ঘটনার ফুলছড়ি থানায় প্রাপ্ত সংবাদের ভিক্তিতে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি-সার্কেলের নেতৃত্বে ফুলছড়ি থানার ওসি, ওসি তদন্তসহ অন্যান্য অফিসার ফোর্সসহ জেলা পুলিশের একাধিক অভিযানিক টিম গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের আনছার ক্যাম্পের পশ্চিমে পুকুর হতে চুরি যাওয়া ১৩ টি মহিষ উদ্ধারসহ মোট ১৬টি মহিষ উদ্ধার করে এবং চোর চক্রের মূলহোতা পরিকল্পনাকারী কুখ্যাত চোর আলতাফ হোসেন (৪৭)’কে গ্রেফতার করে। চোরাই যাওয়া উদ্ধারকৃত, মহিষগুলোর আনুমানিক মূল্য ২৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার সঙ্গে থাকা আরো ৩/৪ জন চোরের নাম প্রকাশ করে। ইতোমধ্যে মহিষের মালিক জাকাতুল ইসলাম এবং তার ছেলে আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিজেদের মহিষ হিসাবে সনাক্ত করে। সেখানে আইনগত কার্যক্রম করে মহিষগুলো ট্রাক যোগে ফুলছড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়। মহিষের মালিক থানায় উক্ত বিষয়ে এজাহার করিলে ফুলছড়ি থানার মামলা নং- ০৯/২৩ তারিখ ১৪/০২/২০২৩ ইং ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড রুজু করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামী গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত চোরের মুলহোতা আলতাবা হোসেন (৪৭) গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য খাটিয়ামারী গ্রামের বাসিন্দা ছামছুল হক ও মাতা- শ্যামলাই বেগমের ছেলে। সে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় বসবাস করতো।