নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ২৪ জানুয়ারি সোমবার বিকালে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য’র অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী বলেন, বর্তমান আওয়ামী মহাজোট সরকার রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট হরণকারী। এই সরকার কোন আইন প্রণয়ন করতে পারে না। যে আইন সংসদে উপস্থাপন করেছে, এই সরকারকে সংসদের আইন উপস্থাপনের কোন বৈধতা জনগণ তাদেরকে দেয় নাই। এ বিষয়ে আন্দোলনরত সকল দল ও জনগণের সাথে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম বলেন, সংবিধানের ১১৮/১ অনুচ্ছেদে বলা আছে আইন দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সংবিধানের ৪৮/৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ থেকে বিরত থাকার নতুন বিধান সংবিধানে ধারা যোগ করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। মূল কথা নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতার আওতা মুক্ত করতে হবে।
সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (ঝউচ)’র আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন—সংগ্রাম করে আসছি। কিন্তু যে আইন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার সংসদে উপস্থাপন করেছে, আবার ক্ষমতায় আসার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে এই আইনের জন্য আমরা আন্দোলন করি নাই।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য’র সমন্বয়ক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন আল রশীদ খান বলেন, আন্দোলনরত সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণের স্থায়ী ভোটের অধিকার ও তাদের দ্বারা নির্যাতিন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে পাস কাটিয়ে নির্বাচন কমিশন আইন গঠনের পায়তারা বন্ধ কর। আন্দোলনরত সকল রাজনৈতিক দল ও আইন বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন কর।