নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের উদ্যোগে (২১ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “গণতন্ত্র বিকাশের জন্য দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গণসমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম-এল) সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, পিডিবি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ খান, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা বিধান দাস সহ গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বৎসর পরও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় নাই। কারণ দেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষমতার বলে প্রধানমন্ত্রী সর্বময় একক ক্ষমতাবান হয়ে গেছেন। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরতান্ত্রিক চরিত্র অর্জিত হয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সমূহকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।”
তাঁরা বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশনকে আইন দিয়ে স্বাধীন করে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিতে হবে। বিচার বিভাগকে আইন মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে দিতে হবে। জেলা বিচারপতিদের নিয়ন্ত্রণ হাইকোর্টের অধীনে ন্যস্ত করতে হবে। সকল বিচারপতিদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপ্রীম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে একটি নিয়োগ কমিটি গড়ে তুলতে হবে। জেলা আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত সকল বিচারপতিদের নিয়োগের জন্য সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের সমন্বয়ে নিয়োগ কমিটি করে নিয়োগ দান করতে হবে।”
তাঁরা বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ এর সকল ধরণের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের স্বাধীনভাবে নিয়োগ দিতে পারবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া গড়ে তোলার জন্য আইন থাকতে হবে। দেশে গণতন্ত্র বিকাশের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যম থাকতে হবে। বেতার, টেলিভিশন, খবরের কাগজ, সোস্যাল মিডিয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য আন্দোলনরত সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সরকার গড়ে তুলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।