||রাজিবুল হাসান, খুলনা থেকে ফিরে||
ঐতিহ্যবাহী খুলনা জেলা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন ২০২১ আজ ৬ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, রংবেরঙের বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধক হিসাবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সংগ্রামী সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের জন্য ১৮ ঘন্টা পরিশ্রম করেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড! তিনি বলেন প্রত্যেকটি জেলা পুনর্গঠন করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। খুলনা জেলা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে মর্মে প্রত্যাশা করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিপ্লবী যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, বিএনপি জামাত লাশের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে! করোনা কালীন সময়ে মানুষের পাশে না থেকে লাশ কামনা করেছিল তারা। মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায় এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারনে তাদের সে স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই রয়ে গেছে। একই অপশক্তি দূর্গাপুজার সময় দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। প্রতিমা ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চেয়েছিল। আমাদের নেত্রী ধর্মনিরপেক্ষ কিন্তু ধর্মহীন নয়। তিনি অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে মানুষ সাড়া দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা হয়েছে। ব্যর্থ হয়েছে খালেদা জিয়া তারেক জিয়া এবং মির্জা ফখরুলরা। জনগনকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসীর রায় কার্যকর করে আত্মার শান্তি দিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসীর দন্ড কার্যকরের দাবী জানান। যেকোন মূল্যে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসীর দন্ড কার্যকরের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন এই সম্মেলনের মাধ্যমে দল শক্তিশালী হবে। তিনি নেতাকর্মীদের জমি দখল, ভূমি দখল সন্ত্রাস চাঁদাবাজিতে জড়িত না হওয়ার নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনে ধারণ করে রাজনীতি করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করেছেন। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। তিনি বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে থাকবেন। তিনি বলেন, আমার আত্মবিশ্বাস জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ।
বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র জননেতা তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন বিচার বিশ্লেষণ করে সংগঠনের দায়িত্ব দিবেন। আন্দোলন সংগ্রামে যাদের ভূমিকা ছিল তাদের হাতে নেতৃত্ব দিবেন। ভূমিদস্যু, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিতে জড়িতদের সংগঠনে দায়িত্ব দিবেন না।
বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু তিনি বলেন এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংগঠনের কার্যক্রম আরো গতিশীল ও বেগবান হবে মর্মে আমি বিশ্বাস করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বৈশ্বিক করোনা মহামারী চলাকালে ভয় কে জয় করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ—এর প্রতিটি নেতাকর্মী সবসময় মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ যেকোন ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।
আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বিসিবি পরিচালক জনাব শেখ সোহেল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডঃ আমিরুল আলম মিলন এমপি, অ্যাডঃ গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সুজিত অধিকারী, জনাব আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি,আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, সৈয়দ নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জেড এ মাহমুদ ডন, সঞ্চালনা করেন সম্মেলন এর সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মোতালেব হোসেন, সদস্য সচিব এম এ নাসিম।
সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সমন্বয় কমিটির সভাপতি মীর বরকত আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ও খুলনা জেলা এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এমএ নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক এসএম আসাদুজ্জামান রাসেল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ লিটন এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান রাসেলকে নির্বাচিত করা হয়।