সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে চরশাহজালাল, চরহাদী, চরবোরহান প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় সৃজিত ভুয়া বন্দোবস্ত বাতিল ও চরে অবস্থানরত- বসবাসরত উপজেলার প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান,খাস জমি ভূয়া বন্দোবস্ত বাতিল, খাসজমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া বন্দোবস্তকারীদের বিচার, উপজেলার চরাঞ্চল ও মূল ভূমির সকলা খাস জমি চিহ্নিতকরন, আন্তঃউপজেলা ও আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারনের দাবী জানান। বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ ভুয়া বন্দোবস্তের কারনে যে সংকট তৈরী হয়েছে তা সমাধান কল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করে চরশাহজালালসহ বিভিন্ন এলাকায় শান্তি ও শৃংখলা বজায় রাখায় সদয় ভূমিকা কামনা করেন।
বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি কমরেড বদরুল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশে ৫০ লক্ষ একরের অধিক খাসজমি রয়েছে। এ খাসজমিতে ভূমিহীনদের অধিকার সুরক্ষায় সমগ্র দেশে কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত ও ব্যবস্থাপনা কমিটি সক্রিয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তিনি আরো বলেন, ভূমি মানুষের জীবন-জীবিকার উৎস। মানুষের খাদ্য সার্বভৌমত্বের নিশ্চয়তা দেয়। সুতরাং ভূমি নিয়ে কোন ধরনের দুর্নীতি ও কারসাজি বরদাস্ত করা হবে না। উত্তর শাহজালালে যে দুর্নীতি ও অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে তার সমাধান সরকারকেই করতে হবে। কেননা সরকারের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী এর সাথে জড়িত। সারা দেশে শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে সকল ধরনের ভূমি সংক্রান্ত অনিয়ম রুখে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি। তিনি দেশীব্যাপী খাদ্য সার্বভৌমত্বের দাবীতে শক্তিশালি ভূমি আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, উত্তর চরশাহজালালের খাসজমি সংক্রান্ত জটিলতা দীর্ঘদিনের। সরকার চাইলেই এর সমাধান করতে পারে। কিন্তু কায়েমী স্বার্থের কারনে সমস্যাকে দশকের পর দশক জিইয়ে রেখেছে। সাংগঠনিকভাবে সমাধানের চেষ্টা আমাদের দিক হতে জারী রাখলেও স্থানীয় প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে আজও কোন সুরাহা হচ্ছে না। তিনি এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবীঃ
১)দশমিনা উপজেলার ভূমিহীন পরিবারের মাঝে খাসজমি বন্দোবস্ত দিতে হবে।
২)চর শাহজালালে ৩১ বছর যাবৎ চরে বসবাসরত ভূমিহীন পরিবারের মাঝে খাসজমি বন্দোবস্ত দিতে হবে।
৩)খাস জমি ভূয়া বন্দোবস্ত বাতিল করতে হবে।
৪) চরশাহজালালসহ বিভিন্ন এলাকায় খাসজমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া বন্দোবস্তকারীদের বিচার করতে হবে।
৫)উপজেলা চরাঞ্চল ও মূল ভূমির সকল খাস জমি চিহ্নিত করতে হবে।
৬)আন্তঃউপজেলা ও আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারন করতে হবে।