নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সোমবার ১৩ ডিসেম্বর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের উদ্যোগে ‘ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও শারীরিক সুস্থতা কামনায় কৃষকদলের কোরআনখানি, দোয়া, আলোচনা ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।
এ সময় সরকারের কড়া সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, এই অবৈধ সরকার সম্পূর্ণ বেআইনী ভাবে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। তারা তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়া না হলে এই অবৈধ সরকারকে উৎখাত করতে সর্বাত্ম আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই সরকার যাদের নিয়ে ক্যাবিনেট করেছে তারা অনর্গল মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন চার হাজার কোটি টাকা কোন টাকাই না। শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন তোমরা দুর্নীতি করো সহনীয় পর্যায়ে করো। যিনি ছাত্রদের নৈতিকতা শেখাবেন তিনি বলছেন সহনীয় পর্যায়ে দুর্নীতি করো। এই সরকারের ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরা অনর্গল মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার ক্যাবিনেটে সব মিথ্যাবাদী, বেয়াদব ও দুর্নীতিবাজ। এসব নিয়ে শেখ হাসিনার ক্যাবিনেট চলছে। সেখান থেকে ভালো কিছু আশা করবেন কিভাবে?
তিনি আরো বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান যখন কানাডায় ঢুকতে পারলেন না। তখন দুবাইতে ঢোকার চেষ্টা করেছে। সেখানকার একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে যে এয়ারপোর্টের ফ্লোরে শুয়ে আছে। যিনি এক সময় প্রকট ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন। যিনি ক্ষমতার দাপটে বিরোধী দলের নেতা—কর্মীদেরকে গালি দিয়েছেন ব্যঙ্গ করেছেন। তিনি দুবাইয়ের এয়ারপোর্টে জ্যাকেট মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। এইভাবে শেখ হাসিনার ক্যাবিনেটকেও রাস্তায় শুয়ে থাকতে হবে একদিন। চারদিকে যে অনাচার—অবিচার রক্ত এই কারণে তাদেরকেও একদিন ফুটপাতের রাস্তায় শুয়ে থাকতে হবে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র নিজেকে বিরাট দার্শনিক মনে করেন। তিনি সকালে এক কথা বলেন দুপুরে আরেক কথা বলেন বিকেলে আরেক কথা বলেন। দেশের বড় বড় নেতাদেরকে তুই করে বলেন। মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করেন না। তিনি বলেছেন বিএনপির স্বাধীনতা বিরোধী দেশের সাথে আঁতাত করে। উনাকে (সজিব ওয়াজেদ জয়) বলব আপনার মাকে জিজ্ঞাসা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা বিরোধিতা করেছে তাদের সাথে আপনার মা দহরম—মহরম করছেন কিনা এই প্রশ্ন করেন আপনার মাকে। তারপরে জনগণের সামনে এসে কথা বলেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন ওলামা দলের সদস্য সচিব প্রিন্সিপাল মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, কৃষকদলের সহ—সভাপতি এ্যাড. নাসির হায়দার, জামাল উদ্দিন মিলন, মামুনুর রশীদ মামুন, কর্নেন (অবঃ) এস এম ফয়সল, আলহাজ্ব আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, এ্যাড. আসলাম মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক টি. এস. আইয়ুব, ইঞ্জি. তালহা শাহরিয়ার, মোঃ মোশাররফ হোসেন এমপি, ফেরদৌস পাটোয়ারী, কৃষিবিদ মিজানুর রহমান লিটু, শাহ আবদুল্লাহ আল বাকী, ফজলে হুদা বাবুল, কৃষিবিদ শাহ মোঃ মুনিরুর রহমান, মাহমুদা হাবিবা, কৃষিবিদ শাহাদাৎ হোসেন বিপ্লব, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, শাখাওয়াৎ হোসেন নান্নু, রফিকুল ইসলাম, সহ—সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শরিফুল ইসলাম মোল্লা, এম. জাহাঙ্গীর আলম, মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগর, ইঞ্জি. ওসমান আলী, ইঞ্জি. মোমিনুর রহমান, হালিমা খানা লুচি, কে এস মামুনুর রশীদ, হাজী মোঃ মাসুক মিয়া, মফিজুর রহমান লিটন, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, সাংগঠনিক রফিকুল ইসলাম (জনতার রফিক), দপ্তর সম্পাদক, শফিকুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী সাখাওয়াত হোসেন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এ্যাড. রেহেনা পারভীন, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক কে. এম. নাজমুল, স্থানীয় সরকার সম্পাদক কৃষিবিদ একরামুল হক, পাঠাগার সম্পাদক আব্দুর রাজী, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নাসির উদ্দীন বেপারী, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. নুরুল আমিন তালুকদার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান কামাল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, সহ—দপ্তর সম্পাদক সোলায়মান হোসাইন, এ্যাড. মাহমুদুল মুস্তাকিম নিশাত, সহ—প্রচার সম্পাদক ইঞ্জি. মোফাজ্জল হোসেন হৃদয় প্রমুখ।