উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক সুফী সাধক, ওলিয়ে-কামেল সিরাজগঞ্জ হযরত শাহ সুফী খাজা বাবা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ)-এর ২০২৫ সালে ১১০তম ওরশ আগামী ৩রা জানুয়ারী শুক্রবার মঙ্গলবার হতে শুরু হবে। ৫ জানুয়ারী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
৩ দিন ব্যাপি বাৎসরিক শুক্রবার বাদ জুমা খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) মাজার জিয়ারতসহ ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর সত্য তরিকার আল্লাহ আকবার লেখা ঝান্ডা উড়িয়ে ঐতিহ্যের বাৎসরিক ১১০ তম ওরশ শুরু হবে। যাহার ফলে দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন গ্রহন করেছে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা।
সুফি সাধক পিড়ানে পীর দস্তগীর খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ) এর পরিবার ছিলেন মুলত ছিলেন ইয়েমেনের ফাতেমী বংশধর। অর্থাৎ আওলাদে রাসুল বা সৈয়দ। একই ভাবে মাতৃকুল ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রঃ) এর বংশের। তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্যই তাদের আগমন। তার পঞ্চম পুর্ব পুরুষ হযরত শাহ দায়েম (রঃ) ইয়েমেন থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য ভারতবর্ষে আসেন। খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) এর বাবা শাহ আব্দুল করিম (রঃ), মাতা-তাহমিনা বেগম (রঃ) এর ২ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ১৮৮৬ সালের বাংলা ১২৯৩ বঙ্গাদ্বের ২১ শে কার্তিক সুবেহ সাদেক জন্মগ্রহন করেন। ২০১৭ সালে খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) এর জীবনী নিয়ে লেখা একটি বইতে উল্লেখ করা হয়, মুলত তিনি ছিলেন তার আবির্ভাবের পুর্ববর্তী সময়কালের ওলী গনের ভবিষ্যদ্বাণীকৃত এই আখেরী জামানার ‘মহান ইমাম বা প্রতিশ্রুত মোজাদ্দেদ’।
ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রত্যেক হিজরী শতকের ক্রান্তিলগ্নে ধর্মজগতে একজন করে দুরদৃষ্টি সম্পন্ন মহান ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটে। যাকে কেন্দ্র করে ইসলামের পুনর্জাগরণ সূচীত হয়। হাদীসের পরিভাষায় যুগ-পুরুষদের মোজাদ্দেদ বলা হয়েছে। যা হিজরী দ্বিতীয় শতক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই ধারার কোন ব্যতিক্রম নেই। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগমন জগতে নবুওয়াতের দরজা বন্ধ রয়েছে। হযরত আদম (আ.) হতে শুরু করে হযরত ঈসা (আ.) পর্যন্ত ধর্মযুগকে ঢালাও ভাবে নবুওয়াতের যুগ বলা হয়। হুজুর পাক (সা.)-এর আবির্ভাবে জগতে নবুওয়াতের এই ধারা প্রবাহ বন্ধ হয় যে যুগের সূত্রপাত হয় তাকে বেলায়েতে মোহাম্মদীর যুগ বা উম্মতে মোহাম্মদীর যুগ বলা হয়। যা কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে জারি থাকবে (ইনশাআল্লাহ)।
খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ) এর পাক দরবার শরীফের বর্তমান গদ্দিনশীন হুজুর হযরত মাওলানা শাহসূফী খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়া (মা. জি.আ.) তাঁর পিতা খাজা ইউনুস আলী (রঃ) কে নিয়ে লেখা ‘বিশ্বওলী হযরত খাজাবাবা এনায়েতপুরী (রহ.)’ বইতে উল্লেখ করা হয়েছে-কোরআন শরীফের আয়াত অনুযায়ী জগতে নতুন কোন ধর্ম অথবা নবীর আগমন আর হবে না। এটা অকাট্যরূপে সাব্যস্ত হয়েছে। তবে মুসলীম সমাজে গোমরাহী, শরীয়াতের অপব্যাখ্যা, কুসংস্কার, ধর্ম চেতনার বিকৃতি বা ফেরকাপরস্তি অপনোদনের জন্য আল্লাহ পাক প্রত্যেক শতাব্দীতে একজন করে যুগ-পুরুষকে জগতে অবতীর্ণ করেন। তা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এই যুগ পুরুষগণ ধর্ম হতে গোমরাহী বিদূরিত করে ধর্ম জীবনকে সতেজ ও জীবন্ত করে তুলবেন। হাদীস শরীফে আছে আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা মহান ও সম্ভ্রান্ত এ উম্মতের প্রতি (কল্যাণের জন্য) একশত বছর পর পর এমন এক ব্যক্তিকে (পৃথিবীতে) প্রেরণ করবেন যিনি (আল্লাহর দ্বীনকে) সজীব ও প্রাণবন্ত করে তুলবেন।’ (আবু দাউদ শরীফ, মেশকাতুল মাসাবীহ ২৩০)। হাদীসে বর্ণিত আছে, “নিশ্চয় মহান আল্লাহ তায়ালা এই উম্মতের মধ্যে প্রত্যেক শতাব্দীতে একজন মুজাদ্দেদ (সংস্কারক) প্রেরণ করবেন।
হাদীস শরীফের ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক হিজরী শতকের মাথায় জগতে এক বা একাধিক আলাদর্জা প্রাপ্ত আগত ঐরূপ যুগ পুরুষগণের মধ্যে হযরত ইমাম জাফর আস-সাদেক (রহ.) সর্বপ্রথম। তিনি হিজরী দ্বিতীয় শতকের মোজাদ্দেদ হিসাবে সর্বজন স্বীকৃত ইমাম।
তাঁর পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে আগত শতাব্দির মোজাদ্দেদ গণের মধ্যে হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.), সাইয়েদেনা হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.), হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ.), হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশাবন্দ (রহ.) হযরত শায়েখ আহাম্মদ সেরহিন্দ মোজাদ্দেদ-এ-আলফেসানি (রহ.), হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মোহাদ্দেস দেহলভী (রহ.), হযরত সাইয়েদ আহাম্মদ শহীদ ব্রেলভী (রহ.), রাসুলনোমা পীর হযরত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহ.) এর নাম উল্লেখ করা যায়। হযরত সাইয়েদ আহাম্মদ শহীদ ব্রেলভী (রহ.) হিজরী তের শতকের মোজাদ্দেদ হিসাবে মুসলিম জাহানে সর্বজন বিদিত পুরুষ। এই যুগ পুরুষের একশত বৎসর পর হিজরী চৌদ্দ শতকের ক্রান্তিলগ্নে যে ক্ষমতাধর আউলিয়াপ্রবর মোজাদ্দেদ রূপে জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি হচ্ছেন সাইয়েদেনা হযরত খাজা শাহ্ মোহাম্মদ ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রহ.) সাহেব।
ইসলামের শান্তির বাণী প্রচারে পৃথিবীতে মোজাদ্দেদ গনের আগমনের ধারাবাহিকতায় হযরত খাজাবাবা এনায়েতপুরী (রঃ) ত্রয়োদশতম (১৩ তম) মোজাদ্দেদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তরিকতের ইমাম হযরত শায়েখ আহাম্মদ সেরহিন্দী মোজাদ্দেদ-এ-আলফেসানীর (র.) পর হযরত খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (র.) হচ্ছেন মর্যাদা ও মর্তবাসম্পন্ন আকারের আউলিয়া। যার নিদর্শন বিগত চারশত বছরের ইতিহাসে পৃথিবীতে আর দেখা যায়নি।
খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ) এর বাবা শাহ আব্দুল করিম (রঃ), তাহমিনা বেগম (রঃ) এর ২ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) এর পুত্র খাজা মোজাম্মেল হকের লেখা “খাজা বাবার সাধনা জীবন” বইটি থেকে জানা যায়, খাজা ইউনুছ আলী (রঃ) যখন ছোট তখনই বাবা মারা গেলে সংসারে শুরু হয় অনটন। তার মা আরবী, ফারসি ও উর্ধতে পারদর্শী হওয়ায় স্বামীর প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় এলাকার নারীদের পড়াতেন। পাশাপাশি সংসার চালাতে ছেলেকে দিয়ে বাজার থেকে কাপড় কিনে এনে তা দিয়ে টুপি তৈরী করতেন। পরে খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) হাটে-হাটে গিয়ে এসব টুপি বিক্রি করতেন। আর এভাবেই চলতো তাদের কষ্টের সংসার ও তার লেখা-পড়া। একদিন খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) মা তাহমিনা বেগম (রঃ) হঠাৎ এক রাতে স্বপ্ন দেখেন দক্ষিন-পশ্চিম আকাশে সুর্য্য উদিত হচ্ছে। সবাই ঐদিকে সেজদা করছে। পরদিন সকালে শুনতে পান ভারতের প্রখ্যাত পীর খাজা ওয়াজেদ আলী (রঃ) শাহজাদপুর উপজেলার চিনা ধুকুরিয়া এনায়েতপুর মাজারের দক্ষিন-পশ্চিম এলাকায় ইসলাম প্রচারের জন্য এসেছেন। এলাকার মুরুব্বীদের সাথে ১৭ বছর বয়স্ক খাজা ইউনুছ আলী (রঃ) কে সেখানে পাঠান তিনি। অনুসারীদের নিয়ে ইসলামী আলোকপাত করা কালে সন্ধ্যার দিকে মাগরিবের নামাজ অতিবাহিত হচ্ছিল। তখন তিনি সম্মানের সাথে দাঁড়িয়ে “নামাজকা ওয়াক্ত যা রাহা” বললে তখন সৈয়দ ওয়াজেদ আলী মেহেদীবাগী (রঃ) আলোচনা রেখে সবাইকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। এরপর হুজুর তাকে ডেকে নিয়ে কথা বলে সন্তুষ্ট হন। এক পর্যায়ে তাকে দরবারে নিয়ে কোলকাতার হুগলীর দারুল উলুম মাদ্রাসায় পড়িয়ে টাইটেল পাশ করেন।
এরপর সৈয়দ ওয়াজেদ আলী মেহেদীবাগী (রঃ) এর শান্তি ও আদর্শের পথে ইসলাম প্রচারে ভোগ বিলাসী জীবনের বিরোধী এই মহামানব ইসলাম ও সুফীবাদের দর্শন ভারতের আসাম সহ সাড়া বাংলায় প্রচারে ২৪ লাখ মুরিদ ও খেলাফত প্রাপ্ত ৫৬ জন খলিফাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে খেতাব প্রাপ্ত হন। কিছুদিন অতিবাহিত হলে নিজ ভুম সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খানকা স্থাপন করে শুরু করেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শান্তির তরিকা প্রচার এবং আদর্শের সুফী বাদের বিস্তার।
পাশাপাশি এনায়েতপুরেই তিনি বিয়ে করে শুরু করেন সংসার জীবন। ৮ কন্যা এবং ৫ ছেলে সন্তানের জনক হন। পরবর্তীতে সমগ্র বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের আসামে সফর করে ইসলাম ও সুফীবাদ প্রচার কাজ তরান্বিত করেন। প্রথমত অসুস্থ্যবস্থায় সহযোগীদের নিয়ে ময়মনসিংহ গিয়ে ইসলামের মর্মবানী প্রচার করলে ১৭ জন আকৃষ্ট হন। পাশাপাশি সমাজসেবা মুলক কাজেও রেখেছিলেন অনন্য অবদান। শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান সহ যেকোন প্রয়োজনে অসহায় মানুষের সেবায় নিবেদিত থাকায় খাজা এনায়েতপুরীকে ভক্তবৃন্দ সুলতানুল আউলিয়া এবং চিরস্থায়ী সংস্কারের জন্য “আখেরী মুজাদ্দেদ” বলে অভিহত করেন।
এরপর ১৯১৫ সালে তার আত্বীয় ও অনুসারীদের পরামর্শ ও সহযোগীতায় এনায়েতপুর দরবারে ওরশ শুরু হলে ধীরে-ধীরে অগনিত ভক্তদের আগমনে মহাসমাবেশে রুপ নেয়। এরই এক পর্যায়ে তার সংস্পর্শে এসে আদর্শিক আলোর পথের দিশারী হিসেবে ১২শ পীর আওলীয়া খেলাফত প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে ময়মনসিংহের খাজা মোহাম্মদ ছাইফুদ্দীন শম্ভুগঞ্জী পীর, ফরিদপুরের সদরপুরের প্রখ্যাত হযরত মাওলানা শাহসূফী খাজা মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ ফরিদপুরী আটরশি পীর, মাওলানা সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহম্মেদ চন্দ্রপুরী চন্দ্রপাড়া পীর, টাঙ্গাইল মাওলানা মকিম উদ্দিন প্যারাডাইজ পাড়া, কুমিল্লার ইসলামাবাদ, জামালপুরের সাধুরপাড়া মোসলেম নগর, যশোরের ঘুনী দরবার শরীফ, ভারতের আসামের গণি খলিফার দরবার শরীফ অন্যতম। তারা একই ভাবে খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রঃ) সুফী বাদের আদর্শ ও ইসলাম প্রচার করছেন।
ওরশ শরীফের আয়োজনের সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে’ বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফকে সাজানো হচ্ছে অনন্য সাজে নানা ফুলের সৌরভে। সয়দাবাদ-বেলকুচি-এনায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কে, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল গেইটসহ মাজারে প্রবেশ পথে করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ ও দরবারে প্রবেশ মুখে প্রায় ২ কিলোমটার জুড়ে আলোকসজ্জার কাজ। চলছে ওযু-গোসলের জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, খাবার মাঠ সংস্কার। সু-বিশাল খাবার মাঠটিতে হাজার হাজার জাকের একসাথে খেতে পারবে। এখানে ২০ ঘন্টাই থাকবে খাবারের সব আয়োজন, এছাড়া পাকশালার প্রসস্থতাও বাড়ানো হয়েছে। ৪টি পাকশালায় ২০০টির মত চুলায় চলবে সর্বক্ষন রান্নার কাজ। এতে ৫ শতাধীক বাবুর্চি স্বেচ্ছাশ্রমে রান্নার কাজে নিয়োজিত থাকবে প্রতিক্ষণ। খাবার পরিবেশনে লক্ষাধিক মাটির থালার সানকি রাখা হয়েছে প্রস্তুত।
এছাড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ হতেও গ্রহন করা হয়েছে নানা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দরবারের ২ শতাধিক চৌকষ মোজাদেদ্দীয়া আনসারসহ অন্তত ১৫ হাজারের মত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকবেন। বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে করোনার বিস্তার ঠেকাতে এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফের ৫টি প্রবেশ পথে। দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষের মুরাদ আহমেদ খান, লিটন সরকার জানান জানান, মিলাদ-দোয়া মহাফিল, হামদ-নাত, গজল, জিকির-ধর্মীয় আলোচনার এ ওরশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে বিশেষ নির্দেশনা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ১৯১৫ সাল থেকে শুরু বাৎসরিক ওরশ এবার ১১০তম বছর পার করবে। আগামী ৩ জানুয়ারি হতে শুরু ৩ দিন ব্যাপী এই ঐতিহাসিক ওরশে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ভারতের আসাম থেকে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ লক্ষাধিক জাকেরের সমাবেশ ঘঠবে। বসবে ১১০তম ঐতিহ্যের মেলা।প্রতি বছর “বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল” এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফে বাৎসরিক পরম পবিত্র ওরছ শরীফ উদযাপিত হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পরম পবিত্র ওরছ শরীফ আগামী ২১শে পৌষ ১৪৩১ বাংলা, ৪ই রজব ১৪৪৬ হিজরী, ৫ই জানুয়ারি ২০২৫ ই; রোজ রবিবার সমগ্র বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লক্ষ লক্ষ আশেকান ও জাকেরানদের উপস্থিতিতে সকাল দশ ঘটিকায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পরম পবিত্র ওরস শরীফ ২০২৫ ইং এর সমাপ্তি ঘটবে। পরম পবিত্র ওরস শরীফ ২০২৫ ইং এর আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন খাজা শাহ মোঃ ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রহঃ) এর ৩য় সাহেবজাদা ও “বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল” এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফের সাজ্জাদান-নশীন হযরত মাওলানা শাহসূফী খাজা শাহ্ মোঃ কামাল উদ্দিন নুহু মিয়া এনায়েতপুরী নক্সবন্দী-মোজাদ্দেদী (মা.জি.আ.)।