নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
‘সরকারের প্রয়োজনে আমরা ঘর-বাড়ি ছেড়ে দিতে রাজি। উন্নয়নের জন্য সরকার যেকোনো স্থাপনা বা ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারে। তাই বলে ক্ষতিপূরণ পাবো না, এমনটা হতে পারে না। আমরা নি:স্ব হওয়ার পথে। আমাদের জমি কেড়ে নিবেন না। প্রয়োজনে সরকারের বুলডোজারের নিচে প্রাণ দেবো, তবুও ক্ষতিপূরণ ছাড়া এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না। ’
আজ (২২ অক্টোবর) শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন- ডিএসসিসি কর্তৃক জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন কামরাঙ্গীরচর এলাকার ‘চর কামরাঙ্গী’ মৌজার ভুক্তভোগী জমি মালিকরা।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, গতবছর তাদের রেকর্ডভুক্ত জমি, ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা একটি খালের জন্য অধিগ্রহণ করে সরকারি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। অথচ দ্বিতীয় দফায় আবারও জমি অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে তাদের অবশিষ্ট জমি, স্থাপনা ও বসতবাড়ি উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কোনো নোটিশ ছাড়াই ক্ষতিপূরণ কিংবা সময় না দিয়েই সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে।
মানববন্ধন শেষে ভুক্তভোগীরা একটি মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে মিছিল থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রবিবার সকাল থেকে কামরাঙ্গীরচর বেরিবাধ এলাকায় অবস্থান এবং উচ্ছেদ করতে বুলডোজার চালালে বুলডোজারের নিচে শুয়ে পড়া।
মানববন্ধনকারীদের ভাষ্য, সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে অনেকে রাজউক থেকে নকশা পাস করিয়ে বহুতল ভবন করেছেন। অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ এবং ধারদেনা করে মাথা গোজার ঠাঁই নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ডিএসসিসির স্বেচ্ছাচারিতায় সব হুমকির মুখে পড়েছে। ক্ষতিপূরণ ছাড়া এই সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে সভাপত্বি করেন, ভুক্তভোগী শামসুল হক দুররানী। বক্তব্য রাখেন সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হাকিম, কামরাঙ্গীরচরের বসিন্দা নূর মোহাম্মদ, হাজী আজিমসহ ভুক্তভোগী জমির মালিক, তাদের পরিবার ও স্থানীয়রা।