আমিরুল ইসলাম কবির♦♦
দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন প্লাজা পলাশবাড়ী। মাত্র ৪ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তি সুবিধার আওতায় পলাশবাড়ী ওয়ালটন প্লাজা থেকে একটি স্মার্ট এলইডি টেলিভিশন কিনেছিলেন গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ৭নং ইদিলপুর ইউনিয়নের রাঘব্রেন্দপুর গ্রামের কৃষক শাহ আলম সরকার। একটি কিস্তি পরিশোধের পর অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। বাকি সব কিস্তি মওকুফ করে দিয়েছেন ওয়াল্টন কর্তৃপক্ষ। পরিবাটিকে দেয়া হয়েছে আর্থিক সহায়তা। ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় এই সুবিধা পেয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত,কিস্তিতে পণ্য কেনা ক্রেতাদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ নামে যুগান্তকারী এক উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেয়া হচ্ছে।
গত সোমবার ১৮ মার্চ সাদুল্যাপুর উপজেলার রাঘব্রেন্দপুর নতুন বাজার এলাকায় মৃত শাহ আলম সরকারের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন পলাশবাড়ী ওয়াল্টন প্লাজার ম্যানেজার মো. জাকিউল ইসলাম জনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পলাশবাড়ী ওয়ালটন প্লাজা ডেপুটি ম্যানেজার আলমগীর হোসেন এবং হায়ার এক্সিকিউটিভ ফিরোজ কবির। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, ৭নং ইদিলপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান এবং ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম।
এর আগে ওই দিনই পলাশবাড়ী ওয়াল্টন প্লাজায় পলাশবাড়ী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন সরকার ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক এনামুল হক মকবুলের সাথে একটি ফটোসশেনে অংশগ্রহণ করেন সুবিধাভোগী মরিয়ম বেগম।
জানা গেছে,পেশায় কৃষক শাহ আলম সরকার গত বছরের ৯ অক্টোবর ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তি সুবিধায় ‘স্মার্ট এলইডি টেলিভিশন ক্রয় করেন। তার কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ড নাম্বার ৫২৫০৭৭৫২৬৩৮৪৫৮৮৫। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারী মারা যান তিনি। এ অবস্থায় ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’র আওতায় মৃত গ্রাহকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। মৃত কিস্তি ক্রেতা শাহ আলমের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এর থেকে কিস্তির অবশিষ্ট ২৫ হাজার ৪৬৫ টাকা পরিশোধের পর পরিবারটি পেয়েছে নগদ ২৪ হাজার ৫৩৫ টাকা।
ওয়ালটনের কিস্তি ক্রেতা সুবিধার বিষয়টি আগে থেকে জানতেন না মরিয়ম বেগম। স্বামী মারা যাওয়ার পর প্লাজার কর্মকর্তাদের কাছেই এসব বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। ক্রেতা মারা যাওয়ায় কিস্তি মওকুফ করে উল্টো পরিবারকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিতে অবাক মরিয়মের পরিবার।
প্রতিটি কোম্পানীর এমনভাবেই ক্রেতাদের পাশে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন মরিয়ম বেগম। এমন অসহায় পরিস্থিতিতে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।