নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় শনিবার বিকেলে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় শনিবার বিকেলে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় শনিবার বিকেলে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় শনিবার বিকেলে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
রাজধানীতে কোরবানির ঈদের দিনে ১৩ হাজার টনের বেশি বর্জ্য জমেছিল বলে জানিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ; এর পুরোটাই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছে তারা। কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সাফল্যের দাবি নগর কর্তৃপক্ষের
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো.বদরুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার তার সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে ৮ হাজার টনের বেশি বর্জ্য জমেছিল।
আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডে ৫ হাজার টনের মত বর্জ্য জমেছিল বলে এই সিটির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানিয়েছেন।
বদরুল আমিন বলছেন, ঈদের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত দক্ষিণ সিটির ৪২টি ওয়ার্ড ‘শতভাগ’ বর্জ্যমুক্ত হয়েছিল। রোববার বেলা ২টার মধ্যে সব ওয়ার্ডে কোরবানির সব পশুবর্জ্য তারা সরিয়ে নিতে পেরেছেন।
“মাননীয় মেয়রের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আজ বেলা ২টার মধ্যে নগরীর সবগুলো ওয়ার্ড বর্জ্যমুক্ত করেছি। আজকেও বেশ কিছু স্থানে কোরবানি হবে। আমরা সেই বর্জ্য আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে কাজ করব।”
মাঠ পর্যায়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ঢাকা দক্ষিণের ১০টি অঞ্চলে একটি করে টিম গঠন করা হয়েছে। এই ১০টি টিম আগামী ৪ অগাস্ট বেলা ২টা পর্যন্ত ডিএসসিসিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ পর্যবেক্ষণ করবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে দক্ষিণ সিটির নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা হয়েছে। সেখানেও ৪ অগাস্ট বেলা ২টা পর্যন্ত কাজ চলবে।
রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় শনিবার বিকেলে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় শনিবার বিকেলে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণ সিটির বাসিন্দারা ০১৭০৯৯০০৭০৫ নম্বরে ফোন করে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কথা বলতে পারবেন। বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ থাকলে তা জানাতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ তা দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা নেবে।
উত্তর সিটির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সাইদুর বলছেন, তার সিটির ৫৪টি ওয়ার্ড রোববার বেলা ১০টার মধ্যেই ‘শতভাগ বর্জ্যমুক্ত’ হয়েছে।
এবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবার কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এসব নির্ধারিত স্থানসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে উত্তর সিটির নিজস্ব ২ হাজার ৬৬৭ জন কর্মীসহ মোট ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
এক ভিডিও বার্তায় সাইদুর বলেন, “অনেকেই ডিএনসিসির নির্ধারিত স্থানে না গিয়ে নিজ বাড়ির সামনের রাস্তার উপর কোরবানি করেছেন যা অপ্রত্যাশিত ছিল। আগামী কোরবানিতে সকলকে রাস্তার উপর পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আগামীতে যত্রতত্র কোরবানি করা হতে বিরত রাখার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনী প্রচারাভিযান চালানো হবে। প্রয়োজনবোধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
পুরোপুরি মানানো না গেলেও এবার নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের প্রবণতা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে সাইদুর রহমান বলেন, “আগামী বছর মেয়র মহোদয় গাবতলীতে একটি অত্যাধুনিক স্লটার হাউস নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।”
কোরবানি দেওয়ার স্থান, পশুর বর্জ্য অপসারণসহ সার্বিক বিষয়ে তদারকির জন্য ঢাকা উত্তরের নগর ভবনেও একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। ৩ অগাস্ট পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। ০২-৫৮৮১৪২২০; ০৯৬০-২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০-২২২২৩৩৪ নম্বরে ফোন করে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অভিযোগ জানানো যাবে।
কোথাও কোরবানির পশু বর্জ্য থেকে গেলে নগরবাসী যাতে তা জানাতে পারে, সেজন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ডিএনসিসির ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পেইজে ওই অ্যাপের লিংক দেওয়া হয়েছে।
ওই অ্যাপ মোবাইল ফোনে ইনস্টল করে পড়ে থাকা বর্জ্যের ছবি তুলে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। তাতে ডিএনসিসি জানতে পারবে কোথায় বর্জ্য রয়ে গেছে। সে অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান।