নিজস্ব প্রতিবেদক:
মঙ্গলবার (২০ এপিল) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মিকনকে (৪২), প্রধান আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও এ মামলায় ২নং আসামি করা হয়েছে, যুবলীগ কর্মী মির্জা অনুসারী শহীদ উল্যাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল (৩৪), ৩নং আসামি করা হয়েছে কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিক (২৫) এবং ৪নং আসমি করা হয়েছে কাদের
মির্জার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনকে (৫৩)। এছাড়া ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলায় দায়ের করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জেরে সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বুসরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১ নম্বর সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরনবী চৌধুরীকে (৬৬), গুলি করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয় কাদের মির্জার অনুসারীরা।
পরে একই দিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাদল এ হামলার জন্য বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জা এবং তার কেচ্ছা রাসেলসহ আরো কয়েকজন সন্ত্রাসীকে দায়ী করেছেন।
পরে এক দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা অনুসারী ৭ জনকে আটক করেছে।