নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
‘রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি ঘিরে যে সংকট, তা অনাকাঙ্খিত ও উদ্বেগজনক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না, এটা আলোচনার বিষয়ই নয়। এখনকার মূল এজেন্ডা হওয়া প্রয়োজন রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং সংস্কারের মাধ্যমে জনগনের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। এখন এমন কোনো সংকট সৃষ্টি করা উচিত হবে না, যা অন্তর্র্বতী সরকারের কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্র ও জনগনের ভোটাধিকার পথকে দীর্ঘায়িত করবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি দুই ধরনের বক্তব্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে থাকার নৈতিকতাকে নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তারপরও এই মুহূর্তে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বা সংকট তৈরি করা কারো কাম্য নয়। ’
তারা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি তার পদে থাকবেন কি থাকবেন না এই প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সুতরাং রাজনৈতিক সমঝোতা ও ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘মনে রাখতে হবে-ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যে গণআকাঙ্খা তৈরি হয়েছে, তাঁর চূড়ান্ত বিজয় রুখতে ষড়যন্ত্রকারী ও ক্ষমতালোভিরা এখনো তৎপর। এই অবস্থায় কোন রকমের হটকারী সিদ্ধান্ত গ্রহন করার বিষয়ে সকলকে ভাবতে হবে। রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হওয়ার পর সেই শূন্যতাকে স্বৈরাচারের দোসররা যেন কাজে লাগাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ কর্মপন্থা তৈরী করতে হবে। একই সাথে রাষ্ট্র, সংবিধান ও রাজনীতি সংস্কারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। ’
বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে, ‘পতিত স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া দোসর ও ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পুরোপুরি বিলুপ্ত এবং রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কার ছাড়া জনগনের আকাঙ্খিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মান সম্ভব নয়। এগুলো ছাড়া শুধুমাত্র একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুধুমাত্র সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ক্ষমতার পালাবদল হলেও জুলাই-আগষ্টের বিপ্লবের আকাংখা অপূর্ণই থেকে যাবে। সংবিধানসহ অন্যান্য রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ‘জাতীয় ঐক্যের’ কোন বিকল্প নাই’।