নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
কিডনী রোগে আক্রান্ত নোয়াখালী সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ (অনার্স) প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র মোঃ আনিস(২২)’কে ৫০হাজার টাকার আর্থিক অনুদান দিলেন বৃহত্তর নোয়াখালীর জনপ্রিয় সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “নিরাপদ নোয়াখালী চাই”
আজ সকাল ১০ঘটিকার সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে অসুস্থ্য আনিসের বড় ভাইয়ের হাতে ৫০হাজার টাকার মানি রিসিট তুলে দেন সংগঠনের সুবর্ণচর উপজেলা শাখার আহব্বায়ক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ওমর ফারুক সুমন।
আর্থিক অনুদান পেয়ে আনিসের বড় ভাই বলেন,টাকাটা পেয়ে সত্যিই আমাদের খুব উপকার হলো,আমরা সারাজীবন “নিরাপদ নোয়াখালী চাই” সংগঠনের কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। প্রতিটি জেলায় এ ধরনের একটি মানবিক সংগঠন থাকা উচিত। আমি কথা দিচ্ছি আমার ভাই আনিস সুস্থ্য হলে এই মানবিক সংগঠনের একজন যোদ্ধা হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।
অপরদিকে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাইফুর রহমান রাসেল বলেন, নিরাপদ নোয়াখালী চাই একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন,যা সম্পূর্ণ ভাবে সংগঠনের সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হয়। আমরা আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে আনিসের পাশে দাড়ানো চেষ্টা করেছি,যা হয়ত আনিসের চিকিৎসা চাহিদার তুলনায় খুবই নগন্য। যারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে আনিস কে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন তাদের সকলের কাছে আমরা আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ।
অনুদান প্রদানের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠন এর সুবর্ণচর উপজেলা শাখার মিনহাজুল আবেদীন রাহাত,ওহিদুর রহমান শাকিল,সাজ্জাদ শাহরিয়ার সুমন,ইয়াছিন আরফাত আকাশ,আলী হোসেন, মোঃ রাফি হোসেন, মোঃ রাসেল উল্ল্যাহ,, কামরুল হাছান,আবদুল্ল্যাহ আল নোমান,তানজিদ, আশরাফুল ইসলাম জুয়েল,শাহাদাত হোসেন, ইলিয়াছ হোসেন হৃদয় প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত ২০ আগষ্ট থেকে হঠাৎ করেই আনিসের বুকে ব্যথা ও বমি শুরু হয় কিন্তু দেশব্যাপী চলমান করোনা ভাইরাস দুর্যোগের কারণে স্থানীয় ডাক্তারের কাছেই চলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা। এরপর নোয়াখালী মাইজদীর প্রাইম, গুডহিল, মা ও শিশু হাসপাতালে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানতে পারেন তার দুটি কিডনিই ইনফেকশন হয়ে যায়। পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী থেকে ইমার্জেন্সি ঢাকার ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে আনিস প্রখ্যাত নেপ্রোলজিস্ট (কিডনি স্পেশালিষ্ট) প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ এর অধীনে চিকিৎসা চিকিৎসাধীন। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী তার কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা আবশ্যক। দুটি কিডনিতেই সমস্যা। জরুরি ভিত্তিতে একটি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। কিডনি ট্রাসপ্লান্ট করতে তার দরকার ১৬ লাখ টাকা। বর্তমানে আনিস গণস্বাস্থ্য নাগরিক হাসপাতালে ডাক্তার আমির মোহাম্মদ কায়সার (কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ) তত্বাবধানে হাসপাতালটির তৃতীয় তলা কিডনী বিভাগের ১৪ নং বেডে চিকিৎসাধিন আছেন।
আনিসের অসহায় বাবা আব্দুল মালেক বলেন, আমার ছেলের কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে প্রায় ১৬ লাখ টাকা প্রয়োজন। এত টাকা জোগাড় করা আমাদের পরিবারের পক্ষে অসম্ভব। নোয়াখালী সরকারি কলেজের প্রশাসনসহ দেশের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারব। আনিসের বড় ভাই ইমাম উদ্দিন সুমন বলেন, আমি চাই আমার আদেরর ছোট ভাইটি আমাদের মাঝে সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকুক । কলেজের সকল শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন আপনারাও আনিছের পাশে থেকে সহযোগিতা করুন।
আগ্রহী যে কেউ আনিসকে সহযোগিতা করতে মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ সুবর্ণচর শাখা হিসাব নং ১৩১৩১২১২৩৮৮৬৮৭৬ এবং বিকাশ পার্সোনাল নং (আনিস) ০১৭৬১৬০১০১৯ অথবা ০১৮১২৫২৪৬৫৫(আনিসের বড় ভাই) মাধ্যমে সাহায্যের অর্থ পাঠাতে পারেন।
বিঃ দ্রঃ-যারা স্বশরীরে আনিসের সাথে যোগাযোগ করতে চান কিংবা সাহায্য দিতে চান যোগাযোগ করুন নীচের নাম্বারে আমরা আপনাকে পৌঁছে দিবো আনিসের কাছে- নিরাপদ নোয়াখালী চাই মানবিক টিম-01861-397806।