নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সানারপাড় এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ একটি কালভার্ট মানুষের যাতায়াতে ব্যাপক হারে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জানাগেছে, মধ্যে সানারপাড় লিথি গার্মেন্টস্ সংলগ্নে ‘পাগলা খাল’ নামে পরিচিত এ খালটির উপর দিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে একটি কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ কালভার্টের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ ও বিভিন্ন শ্রেনীর পরিবহণ চলাচল করা হয়। এবং কালভার্টটির দু’পাশে কোন প্রকার নিরাপত্তা রেলিং না থাকাতে। সপ্তাহে এক/দুই বার গাড়ি উল্টে খালে পরারও ব্যাপক অভিযোগ গড়ে উঠেছে এলাকাবাসীর কাছে।
গত মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বেলা ১১ ঘটিকার সময় আটি ওয়াবদা কলনী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে সাংবাদিকদের সৌজন্যমূলক এক সাক্ষাতকারে। ডিএনডি প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশা করা হয়।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ডিএনডি বাধের সমসাময়িক জটিলতা তুলে ধরে। ২০২৩ সালের মধ্যে ডিএনডি খালের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষে, গুরুত্বপূর্ণ একটি তালিকা প্রদান করেন সাংবাদিকদের কাছে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অভিযুক্ত একটি দীর্ঘ বছরের ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের কথা উত্থাপন কালে। সেনাবাহিনীর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ভাবে ওয়ারেন্ট অফিসার সেলিম নামে তাকে আব্দুল হালিম নিশান নামের সাংবাদিককে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
এমতাবস্থায় সেনাবাহিনী-সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং শেষে বিকেল ৩ ঘটিকার সময় সাংবাদিকদের বিশেষ এক তথ্যে মতে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়ারেন্ট অফিসার সেলিম সরেজমিন পরিদর্শন করে সত্যতা নিশ্চত করেন। এবং মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দ্রæত সময়ে মানুষ চলাচল কিংবা যানচলাচলের ব্যবস্থা তৈরী করে দেওয়ার আশ্বাসও প্রদান করেন তিনি।
এবিষয়ে স্থানীয় এলাকার মো: আশরাফ আলম দৈনিক সকালের কাগজকে জানান, এই মধ্যে সানারপাড় গ্রামটি এক সময়ে নয়া বাড়ি নামে পরিচিত ছিলো। এখন পরিবর্তন হয়ে মধ্যে সানারপাড়ে যুক্ত হয়েছে। এবং খালটি প্রাচীন আমল থেকে ‘‘পাগলা খাল’’ নামে সকলের কাছে পরিচিত। কিন্তু এখন শতকরা ৯০% মানুষ এ খালটির নাম ভুলে গেছে। প্রশ্ন করলে উত্তর মিলবে কম মানুষের কাছে। কাজেই সেই থেকে এই কালভার্টটি দেখে আসছি আমরা। এখন এই কালভার্টটি অকেজো এবং দু’পাশে রেলিং না থাকার কারণে। দিন দিন দুর্ঘটনার স্বীকার হন মানুষ। গাড়ি উল্টে পরে কিংবা ভারি বৃষ্টির সময়ে কালভার্টটি পানিতে ডুবে যায় বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারেন্ট অফিসার সেলিম দৈনিক সকালের কাগজকে জানান, আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে ঘটনাস্থল তদন্ত করে বিষয়টি শতভাগ নিশ্চত হতে পেরেছি। এবং এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টে মানুষ চলাচলের নিরাপত্তার জন্য, কালভার্টটির দু’পাশে বাঁশের ধরনী দিয়ে উপযুক্ত চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।