নিজস্ব প্রতিবেদক:
৬-১০ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৫তম বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মসূচীর আয়োজন করেছিলেন, এর মধ্যে তাঁর অবিস্মরণীয় কীর্তি এবং উপ-মহাদেশের তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হচ্ছে ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলন’। উপ-মহাদেশ ও পূর্ব বাংলা তথা আজকের বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর তাৎপর্য অনাগত কালের গবেষকদের কাছে স্বীকৃত।
নেতৃদ্বয় বলেন, কাগমারী সম্মেলন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক-বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলনের ইতিহাসে এক স্বরণীয় ঘটনা। কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানীর কঠোর ভাষন এবং তাঁর ‘আসসালামু আলাইকুম’ই দেশের জনগনকে একটি স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্বপ্ন দেখিয়েছিল।
তারা বলেন, ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের মাধ্যমেই তৎকারীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ব শাসন ও স্বাধীকার আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেছিল। কাগমারী সম্মেলনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী যে গুরুত্বপূর্ণ ও জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখেছিলেন তা আজো আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, পতাকা-মানচিত্র রক্ষার সংগ্রামে এবং সাম্রাজ্যবাদ-আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে ও লড়াইয়ে অনুপ্রেরনা যোগায়।
কর্মসূচী :
ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ দুই দিনের কর্মসুচী গ্রহন করেছে। কর্মসূচীগুলো হলো : ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মজলুম জননেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, এবং ৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মাজার জিয়ারত।