নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা গ্রুপের শ্রমিকেরা। গতকাল (৮ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা কাঁচপুর ব্রীজের ঢালে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দুটি অবরোধ করে রেখেছেন গার্মেন্টস্ শ্রমিকরা।তাঁদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে সড়কের মধ্যে ”বৈদ্যুতিক তারের খাম্বা” ফেলে সড়কপথ আক্রিয়ে দেওয়া হয়।
অবরোধের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়াতে প্রায় নয় ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কাঁচপুর ব্রীজের ঢালে শ্রমিকরা অবরোধ করায় কোনো ধরনের যানবাহন চলতে পারছে না। এমনকি রোগী পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সকেও তাঁরা ছাড় দিচ্ছেন না। অ্যাম্বুলেন্সে বসে থাকা অনেক রোগীর স্বজনদের কান্নাকাটি করতে দেখা যায়।
মহাসড়ক অবরোধে অংশ নেওয়া ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা গ্রুপের শ্রমিক সাজ্জাদ হোসেন নাজমা বেগম ও রিনা আক্তার দৈনিক সকালের কাগজকে জানান, চার মাস ধরে তাঁরা বেতন–ভাতা পাচ্ছেন না। কারখানাটি বর্তমানে বন্ধ আছে। মালিকপক্ষ বিভিন্ন সময় বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিলেও, তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখছে না। বেতন–ভাতা পরিশোধ না করা হলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বিভিন্ন গাড়ির পরিবহণ ড্রাইভাররা সকালের কাগজকে জানান, আমরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একটানা সড়কপথে যানজটে পরে থাকতে হয়েছে। আমরা আমাদের গন্তাব্যস্থানে পৌঁছতে অনেক সময় দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এধরনের শ্রমিকরা সড়কপথ অবরোধ করার কোন যৌক্তিকতা নেই। তাঁদের জন্য আমাদের পরিবহণ শ্রমিকদের কষ্ট পোহাতে হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব নূরে আলম খাঁন জানান, কাঁচপুরে সিনহা গার্মেন্টস্ শ্রমিকরা যেভাবে সড়কের মধ্যে গাছ ফেলে সড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তাঁতে করে যোগাযোগ পথ সম্পূর্ণ রুপে অচল অবস্থায় পরিস্থিতি স্বীকার হচ্ছিলেন। এমন ঘটনায় আমরা আমাদের দলের কর্মীদেরকে নিয়ে সড়কপথ যানজট নিরসনের জন্য আমরাও কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দলের স্বার্থে না.গঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশক্রমে। সড়ক যানজট নিরসনের ক্ষেত্রে আমরা অনেক অংশে তৎপর রয়েছি।যাতে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও অনেক সুবিধা হয় বলে জানান তিনি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা দুটি মহাসড়ক অবরোধ করেছে। তাঁদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা চলছে।এবং গার্মেন্টস্ মালিক পক্ষরাও জানিয়েছেন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আগামী (১৯-২০) জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবেন বলে জানান তিনি।