নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি♦♦
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মেইন পয়েন্টে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর মহাসড়কে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এবং সকালে এসএস পাম্প সংলগ্নে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ কর্মীদের মাঝেও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আজ (১৯ আগস্ট) বিকেলে মহাসড়কে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে আসা নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিতে গেলে বাধাঁর সম্মূখিন হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সরকার পদত্যাগের ‘এক দফা’ দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট লেনে পদযাত্রা কর্মসূচি করতে গেলে পুলিশ বাধাঁ দেয়।
এসময় দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীসহ অন্তত অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউলাউ মারমা জানান, পদযাত্রার নামে বিনা অনুমতিতে মহাসড়কে শৃঙ্খলা করার চেষ্টা করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইলে পুলিশ বাধাঁ দেয়।
এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ জনগণের জানমালের হেফাজতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বর্তমান মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি করতে গেলে পুলিশ বাধাঁ দেয়।
এসময় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে কাঁচপুরের দিকে আসলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা শুরু করে। এরপর হামলাসহ গুলি ছোড়ে।’
প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশের হামলায় বিএনপির ৭ থেকে ৮ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক বলেন, ‘কাঁচপুর সেতুর ঢাল থেকে চিটাগাংরোড পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু পদযাত্রা শুরু আগেই পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।