অনলাইন ডেস্ক♦♦
সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর খাঁন বাড়ি নিবাসী মৃত আহমেদ খাঁনের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফারুক খাঁন মলম পার্টির খপ্পড়ে পড়ে নাশকতামূলক খাবার সেবনে গুরুতর অসুস্থতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজার নামাজ আদায় হয়। এতে তাঁর ভক্ত-অনুসারী প্রায় দুই হাজারের অধিক মানুষ জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল (২৪ জানুয়ারি) বুধবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় প্রয়াত ফারুক খাঁন পরিবারের জন্য ঔষধ কেনাকাটার উদ্দেশ্যে চিটাগাংরোড এলাকা থেকে বন্ধু পরিবহণে নারায়ণগঞ্জের গন্তব্য পৌঁছনোর লক্ষ্যে যাওয়া মুহূর্তে খপ্পড় চক্রের ফাঁদে পড়ে নাশকতা সেবনে সর্বস্ব হারিয়েছেন তিনি।
সঙ্গে থাকা প্রায় লাখ টাকা ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে খপ্পড় চক্রটি তাঁর গন্তব্য পৌঁছনোর আগে বাসের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়।
এমতাবস্থায় পরিবহণ যাত্রীর সচেতন মহল বাসটি নারায়ণগঞ্জ সদর কালীগঞ্জ বাজার গন্তব্য পৌঁছে খানপুর হসপিটালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, রোগীর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) এ ভর্তিরত অবস্থায় বিকেল ৫ ঘটিকার সময় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
পরিবার সূত্রে জানাগেছে, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম ফারুক খাঁনের ছোট নিষ্পাপ কমলমতি তিন শিশু ছেলে ও বাবা-মায়ের দশ সন্তানের মধ্যে তিনি আট নাম্বার ছিলেন। এবং তাঁর সভ্রান্ত খাঁন পরিবার বংশের অসংখ্য আত্মীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রহী রেখে যান। এমন মর্মান্তিক ঘটনার সূত্রে কাঁচপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এবিষয়ে মরহুম ফারুক খাঁনের ভাই রফিক খাঁন দৈনিক সকালের কাগজে জানান, আমার ভাই মরহুম ফারুক খাঁন অত্যন্ত সভ্যশান্ত একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আজকে মলম পার্টির খপ্পড়ে পড়ে আমার ভাইয়ের জীবন হারিয়েছি, এটা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না। আমার ভাইকে আজকে পোস্ট মর্টেম সম্পন্ন করে, জানাজা নামাজ আদায় শেষে আমাদের নিজস্ব কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি আরও বলেন, আমি অচিরেই এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব বলে জানান তিনি।