নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শাহ আলমের একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম। গতকাল (২৭ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার রাত ৮ ঘটিকার সময় সোনাপুর এলাকায় শাহ আলম মেম্বারের নিজ বাস ভবনে ঢুকে একটি সন্ত্রাসী চক্র- সুমন (২৮) পিতা হাজী আমির হোসেন, বাপ্পী (২৮) পিতা আলী হোসেন, মোমিন (৩৩) পিতা মৃত সালাউদ্দিন, রেজা (৩০) পিতা মৃত নূর ইসলাম, নূরুজ্জামান (৩৫) পিতা মৃত নূর ইসলাম, মাদক ব্যবসায়ী বাংলা মনির (৩০) পিতা অজ্ঞাত, ডাকাত জামান (৩০) পিতা অজ্ঞাত ও মিজান (৪০) পিতা মৃত ওমর আলী গংরা। এলোপাতাড়ি ‘স্যান-রামদা-দা’ দিয়ে বেদরক ভাবে কুপিয়ে জখম করেন- ৪ নং ওয়ার্ড সাবেক মেম্বার শাহ আলম (৪০), আ: আলী(৫০), লিমন (৪৫) পিতা আহমদ আলী, বৃব্ধ আমেনা বেগম (৫০) ও শামীম (২৩) পিতা মজিবুর রহমানকে।
জানাগেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় কলাপট্টি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্রলীগ অফিস
ভাংচুরসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দু’জন গুরুত্বর আহত হয়। কলাপট্টি এলাকায় ছাত্রলীগের অস্থায়ী কার্যালয় ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম(২৩) পিতা মজিবুর রহমান ও সহ-সভাপতি রায়হান (২২) পিতা রশিদ, উভয় সাং সোনাপুর, থানা সোনারগাঁ, জেলা নারায়ণগঞ্জকে। ওই চক্রটি শামীম ও রায়হানকে অফিস কক্ষে দু’জনকে পেয়ে এলোপাতাড়ি ‘স্যান-দা’ দিয়ে প্রথমে হাতে কোপ ও পরে রড দিয়ে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করেন এলাকার অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা।
এলাকাবাসীর মতে, বিকালের ঘটনার পরবর্তী সময়ের ৩ ঘন্টার মুহূর্তে আবার তাঁদের ঘর-বাড়ি হামলা ভাংচুর ও একই পরিবারের ৫ জনকে বেদরক ভাবে কুপিয়ে জখম করে থাকেন। এমন গুরুত্বর আহত পরিবারের লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ভর্তিরত অবস্থায় আছেন বলে জানান।
এবিষয়ে গুরুত্বর আহত ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম সাংবাদিকদের জানান, আমাদের কলাপট্টি এলাকায় ছাত্রলীগের অস্থায়ী ভাংচুর এবং আমাদের দু’জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এমন ঘটনার ৩ ঘন্টার মধ্যে আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর এবং আমাদের দুই মামা, বৃব্ধ নানা, নানীকে ‘স্যান-দা’ দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। বর্তমানে তাঁদের গুরুত্ব আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক)’কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের এমন হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এবিষয়ে কাঁচপুর ৪নং ওয়ার্ড সাবেক মেম্বার শাহ আলাম জানান, আমার সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওই সকল সন্ত্রাসীরা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে আমার লোকজন বাধাঁ প্রয়োগ করলে। তাঁদেরকে মারপিট করে ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমরা আপনাদের মাধ্যমে এধরনের অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের বিচার বিশ্লেষণের দাবি জানাচ্ছি এবং আমাকেসহ পরিবারের যে সকল হামলাকারীরা রয়েছে তাঁদের আইনের আওতায় এনে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাহলে এলাকার সন্ত্রাসীরা দমন হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবহিত করা হলে, ফোনে কোন প্রকার দায়িত্ববোধ গ্রহণ করেননি।