নিজস্ব প্রতিবেদক♦♦
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসরকারি আমলে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড সুরক্ষার দাবিতে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সমন্বয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ (২১ জুন) বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় সংগঠনের আহব্বায়ক শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাজেদুর রহমান লিটুর সঞ্চালনায় সভায় লিখিত বক্তব্যে আহব্বায়ক জানান।
বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রম্নতি অনুযায়ী সরকারি কলেজ বিহীন প্রতিটি উপজেলায়, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নামে একটি করে কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় ৩’শ ৫০টি কলেজ সরকারিকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারিকরণের কাজ চূড়ান্ত করতে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারি আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ জারি করা হয়। কিন্তু এ বিধি অনুযায়ী অধিকাংশ শিক্ষক—কর্মচারীদের পূর্বে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড অবনমন করা হয়েছে। যাবে—সরকারি আমলের বেতনের চেয়ে অনেক কম, বিষয়টি খুবই অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।
এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরী আত্তীকরণে বেতন গ্রেড/স্কেল অবনমন করায় মারাত্মক জটিলতা তৈরি হয়েছে।
এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরী আত্তীকরণে বেতন গ্রেড/স্কেল অবনমন করায় মারাত্মক জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সর্বশেষ শতাধিক কলেজে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে ৭ম গ্রেড ধারী শিক্ষক ও অশিক্ষক-কর্মচারীরা অবনমনকৃত গ্রেডে প্রায় ৭-১৫ হাজার টাকা কম বেতন ভাতাদি পাওয়ায় তারা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
এছাড়াও বে-সরকারি আমলে আহরিত লক্ষ লক্ষ টাকাও ফেরত দিতে হচ্ছে। ফলে এ সকল শিক্ষক-কর্মচারীগন একদিকে যেমন আর্থিক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে, তেমনি সামাজিক মযার্দাও ভুলন্ঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি অবসরকালীন সময়ে শ্রেণিভেদে ৩০-৪০ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী শিক্ষক সংগঠনের পক্ষে দায়িত্বশীল পর্যায়ে আবেদন—নিবেদনের প্রেক্ষিতে ডিজি মহোদয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দুটি পৃথক রেজুলেশন করে গ্রেড সুরক্ষার ব্যাপারে ইতিবাচক মতামত প্রদান করলেও তা অজ্ঞাত কারণে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা গ্রেড সুরক্ষার ব্যাপারে আন্তরিকতা দেখালেও বাস্তাবায়নের জন্য পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
ফলে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারিকরণের স্বপ্ন লালন করেছেন এবং শিক্ষক সমাজকে অর্থনৈতিক মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তা ভুলন্ঠিত হচ্ছে।
এমতাবস্থায় গ্রেড সুরক্ষা কমিটি কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এমতাবস্থায় গ্রেড সুরক্ষা কমিটি কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বেতন গ্রেড সুরক্ষা কমিটি আশা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগামী ৩১ জুলাই এর মধ্যে গ্রেড সুরক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ইতিবাচক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নচেৎ সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী বেতন গ্রেড সুরক্ষা কমিটি বঞ্চিত শিক্ষক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ে বৃহৎ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক নাছির উদ্দীন, বরিশাল বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক ফারুক ফকির, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান প্রিন্স, রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক এমকে হাসান কিরন, সদস্য সচিব শাহজালাল। খুলনা বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক আশরাফ আলী, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া এন ইসলাম খোকন, ফারুক আহম্মেদ, আব্দুল হান্নান, জুলমত আলী, হাবিবুর রহমান, ওয়াজেদ বাঙ্গালী, নুরুজ্জামান, জিয়া হায়দার, ফরিদ খান, সাদেকুল ইসলাম, ইমন, শিপ্রা রানী সাহা, সাইদুর রহমানসহ প্রমুখ।
সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক—কর্মচারীদের গ্রেড সুরক্ষার জন্য নিম্নোক্ত দাবি সমুহ :
■ অসাংবিধানিক, অমানবিক ও বৈষম্য মুলক আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮ এর কালো ধারা, উপধারা সংশোধন করে জিও জারী কালীন ৭ম গ্রেড প্রাপ্ত প্রভাষক, প্রদর্শক, শরীরচর্চা শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, সহকারি গ্রন্থাগারিক, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিদের বেসরকারি আমলে এমপিও শীটে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড বহাল রাখতে হবে।
■ জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সওব্য অনু বিভাগ কতৃর্ক ৬ জুলাই ২০২২ খ্রি. সভায় সদ্য সরকারিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের জনবল আত্তীকরনের কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্ত/ সুপারিশের ১নং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুপারিশ (নিয়োগ বিধি সংশোধন) বাস্তবায়ন করতে হবে। (কপি সংযুক্ত)
■ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ জনপ্রসাশন মন্ত্রনালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা—৬ শাখা কতৃর্ক অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত (খ) এর আলোকে সরকারিকৃত শিক্ষক কর্মচারিগন বেসরকারি আমলে যে গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন সে গ্রেডে বেতন প্রাপ্তির লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়েরে বিধি অনু বিভাগের মতামত গ্রহন পূর্বক পে-প্রটেকশন এর জন্য ২৭-০৯-২০২২ খ্রি. মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে যে গাইড লাইন তৈরি করতে বলা হয় তা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রকাশ করতে হবে। (কপি সংযুক্ত)
■ বেসরকারি থেকে সরকারি হলে বেতন কমেছে এমন নজির নাই। সুতরাং সরকারি চাকুরী ৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সপ্তম গ্রেডধারীদের প্রমোশন দিয়ে সহকারী অধ্যাপকের মর্যাদা দিতে হবে।
■ আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেসরকারি আমলের ধারাবাহিক চাকুরীর শতভাগ সময় সরকারী চাকুরীকাল হিসাবে গণনা করে বেতন ভাতাদি নির্ধারণ, জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ, পদোন্নতি, পেনশন ও ছুটিসহ সকল ক্ষেত্রে কার্যকর করতে হবে।
■ সরকারি কলেজের ন্যায় সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষকদের জন্য পদ সোপান তৈরি করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কার্যকাল অতিক্রান্তে পরবতীর্ পদ প্রভাষক হতে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বিধান রাখতে হবে।
■ অসাংবিধানিক, অমানবিক ও বৈষম্য মুলক আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮ এর কালো ধারা, উপধারা সংশোধন করে জিও জারী কালীন ৭ম গ্রেড প্রাপ্ত প্রভাষক, প্রদর্শক, শরীরচর্চা শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, সহকারি গ্রন্থাগারিক, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিদের বেসরকারি আমলে এমপিও শীটে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড বহাল রাখতে হবে।
■ জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সওব্য অনু বিভাগ কতৃর্ক ৬ জুলাই ২০২২ খ্রি. সভায় সদ্য সরকারিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের জনবল আত্তীকরনের কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্ত/ সুপারিশের ১নং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুপারিশ (নিয়োগ বিধি সংশোধন) বাস্তবায়ন করতে হবে। (কপি সংযুক্ত)
■ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ জনপ্রসাশন মন্ত্রনালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা—৬ শাখা কতৃর্ক অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত (খ) এর আলোকে সরকারিকৃত শিক্ষক কর্মচারিগন বেসরকারি আমলে যে গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন সে গ্রেডে বেতন প্রাপ্তির লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়েরে বিধি অনু বিভাগের মতামত গ্রহন পূর্বক পে-প্রটেকশন এর জন্য ২৭-০৯-২০২২ খ্রি. মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে যে গাইড লাইন তৈরি করতে বলা হয় তা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রকাশ করতে হবে। (কপি সংযুক্ত)
■ বেসরকারি থেকে সরকারি হলে বেতন কমেছে এমন নজির নাই। সুতরাং সরকারি চাকুরী ৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সপ্তম গ্রেডধারীদের প্রমোশন দিয়ে সহকারী অধ্যাপকের মর্যাদা দিতে হবে।
■ আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেসরকারি আমলের ধারাবাহিক চাকুরীর শতভাগ সময় সরকারী চাকুরীকাল হিসাবে গণনা করে বেতন ভাতাদি নির্ধারণ, জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ, পদোন্নতি, পেনশন ও ছুটিসহ সকল ক্ষেত্রে কার্যকর করতে হবে।
■ সরকারি কলেজের ন্যায় সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষকদের জন্য পদ সোপান তৈরি করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কার্যকাল অতিক্রান্তে পরবতীর্ পদ প্রভাষক হতে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বিধান রাখতে হবে।
Tags: কলেজ