কয়রা প্রতিনিধি◊◊
দেশের সর্ববৃহৎ মৎস্য উৎপাদন খাত সুন্দরবনের দোয়ার খুলছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর জানিয়েছে বন বিভাগ। সুন্দরবন উপকূল অঞ্চলে বসবাস করে ১০ লক্ষাধিক দরিদ্র জেলে পরিবার।
জানা গেছে, গত তিন মাস জুন, জুলাই ও আগস্ট মাস পর্যন্ত সুন্দরবনের সকল ধরনের পাশ-পারমিট বন্ধ ছিল। এই বন্ধ সময় সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল হত দরিদ্র জেলে, বাওয়ালি, মহালীদেরকে সরকারি সহযোগিতায় দুই ধাপে ৮৬ কেজি চাল দেওয়া হবে।
প্রথম ধাপের ৫৬ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে জেলে পরিবারসমূহকে। কিন্তু সুন্দরবনের বন্ধের মেয়াদ শেষ হলেও দ্বিতীয় ধাপের চাল পায়নি জেলে পরিবার। এতে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারগুলো। এদিকে ২য় ধাপে চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেছে তাঁরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫নং কয়রা গ্রামের জেলে রেজওয়ান, রফিকুল, গোলাম এর সাথে কথা হলে বলেন, “সুন্দরবন বন্ধ থাকাকালীন সময় ৮৬ কেজি চাল দেওয়া কথা থাকলেও প্রথম ধাপের ৫৬ কেজি চাল পেয়েছি। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপের ৩০ কেজি চাল এখনো পাইনি।”
বিষয়টা নিয়ে আরও খোঁজ নিয়েছিলাম ৬নং কয়রা গ্রামের বেশ কয়েক জেলের কাছে। তারা বলেন, “প্রথম ধাপের চাউল পেয়েছি। তবে ২য় ও শেষ ধাপের চাল পায়নি। চাল কবে দেবে, সেটা জানি না। সুন্দরবন গত বছরও বন্ধ হয়েছিলো। তখন দুইবারে ৮৬ কেজি চাল দিয়েছিল। এ বছর কেন চাল দিল না, সেটা বলতে পারবো না।”
এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. আমিনুল হক বলেন, “জেলেদের এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁরা যাচাই-বাছাই করে, জানাবেন বলেও জানান তিনি।
Tags: কয়রায়