||মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার||
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক আবু হেনা এরশাদ হোসেন সাজু’র প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (৬ এপ্রিল) বুধবার ৪ রমজান দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আহমাদ বারকাজ নাসির। পার্টির আহবায়ক এ.এফ.এম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডঃ দিলারা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডঃ আব্দুল লতিফ মাসুম, পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলারা চৌধুরী বলেন, একটি কল্যানমূলক বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে এবি পার্টির যাত্রার শুরু থেকেই আমি আন্তরিক ভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিগত ভাবে আমার এবং আমার স্বামীর সুবাদে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে। আজ উপলব্ধি করি যত মানুষ জীবনে দেখেছি তারমধ্যে সাজু ভাই ছিলেন অন্যতম একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ। তিনি এরশাদ হোসেন সাজুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, ব্যক্তিগত ভাবে আমি সাজু সাহেবকে দেখিনি কিন্তু ওনার কর্ম ও জীবন সম্পর্কে যা শুনেছি তাতে নিঃসন্দেহে বলা যায় এই জামানায় উনি ছিলেন একজন সেরা মানুষ।
আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, সাজু ভাই ছিলেন আমার আত্মার আত্মীয়। জোয়ার ভাটা যেমন পানির প্রবাহকে টানে সাজু ভাই আমাকে সেভাবেই টানতো। ইনশাআল্লাহ তাকে নিয়ে আমরা স্মরণিকা প্রকাশ করবো।
তাজুল ইসলাম বলেন, সাজু ভাই ছিলেন এবি পার্টির প্রথম প্রস্ফুটিত গোলাপ যা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। তার কর্ম, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আমাদের চলার পাথেয় হয়ে থাকবে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সাজু ভাই ছিলেন সত্যিকারের গণমানুষের নেতা। এবি পার্টির প্রত্যেকটি শাখা, নেতা, কর্মী ছিলেন সাজু ভাইয়ের প্রাণ। পার্টি অফিসের পিয়ন থেকে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যন্ত সকলেই সাজু ভাইয়ের প্রতি ছিলো নিবেদিত। আজও আমি বিশ্বাস করতে পারিনা সাজু ভাই নেই।
তিনি আরো বলেন, আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি সাজু ভাই যভাবে মানব দরদী, দানবীর, কর্মী বান্ধব, জন বান্ধব নেতা ছিলেন নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করবেন।
সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী, সাজু ভাই ছিলেন আমার হৃদয়ের বন্ধু। দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। রাজনীতির বাইরে তার সাথে আমার দীর্ঘ পরিচয়। তার শত্রুরাও তার ব্যাপারে কোন খারাপ মন্তব্য করতে পারবেনা। আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করুন। বেহেশত নসিব করুন।
দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন, পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভুইঁয়া, বিএম নাজমুল হক, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, এবি যুব পার্টির সমন্বয়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, গাজীপুর জেলা আহবায়ক এম আমজাদ খান, পার্টির সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, গাজীপুর মহানগর আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, যুবনেতা এম ইলিয়াস আলী, মহানগর দক্ষিণের অন্যতম নেতা আনোয়ার ফারুক, আব্দুল হালিম খোকন, নারী নেত্রী সুলতানা রাজিয়া, ছাত্র বিভাগের সমন্বয়ক মোহাম্মদ প্রিন্স সহ মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এরশাদ হোসেন সাজু’র রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি হোসাইন আহমেদ।